রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় তৈরি হচ্ছে নিত্য নতুন সমস্যা। আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বহিষ্কারের মাধ্যমে তাদের নিয়োগের পথ প্রশস্ত করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্দোলন। এমনই পরিস্থিতিতে এবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এল সুখবর। দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে নিয়োগের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সোমবার ২০২০ সালের নিয়ম মামলার একটি শুনানির ভিত্তিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে যে, ২০২০ সালের আগে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং টেট উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৫৩৩ জন চাকরি প্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে খুব শিগগিরই। রাজ্য প্রাথমিক শূন্য পদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে যার মধ্য থেকে ৯ হাজার ৫৩৩ টি শূন্যপদ পূরণ হতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ চলতি মাসেই নিয়োগপত্র হাতে পাবেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অধিকাংশেরই ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা ডিএলএড প্রশিক্ষণ ছিল না। সেই সময় এ ব্যাপারে কিছুটা ছাড় থাকলেও পরে বিষয়টি বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। ২০২২ সালের নিয়োগের ক্ষেত্রে যখন প্যানেল তৈরি করা হয় তখন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম বাদ দেয়া হয়। যেহেতু ডিএলএড বাধ্যতামূলক হওয়ার পর তারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন তাই তাদেরও সুযোগ দিতে হবে। এই দাবিতেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০ সালের আগে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং টেট উত্তীর্ণদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে ছাওয়াল করেন আইনজীবী সোমেশ ঘোষ। বাদী এবং বিবাদী পক্ষের ছাওয়াল জবাব শুনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি জানিয়ে দেন, রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শূন্য পদের ভিত্তিতে ৯ হাজার ৫৩৩ জন যোগ্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীদের দিতে হবে নিয়োগপত্র। বাকি শূন্যপদ গুলি আপাতত খালি থাকবে। পর্ষদ চাইলে ওই শূন্য পদ গুলির জন্য ২০২০ সালের পর ডিএলএড প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউ এবং অ্যাটিটিউড টেস্ট নিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রেও নিয়োগ নির্ভর করবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর।