রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য প্রায়শই নানান ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রান্তিক এবং দুস্থ পড়ুয়াদের জন্য বিভিন্ন স্কিম অথবা স্কলারশিপ ইত্যাদির ব্যবস্থা ইতি মধ্যেই করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তাঁরই উদ্যোগে রাজ্যে মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের সাইকেল এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব অথবা মোবাইল দেওয়া হয় উচ্চ শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে। রাজ্যের সমস্ত মেয়েদের দেওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সাহায্য। মোট কোথায় বলা চলে শিক্ষা ব্যবস্থায় সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশেষ কিছু কাজ করেছেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে এবার রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সময় রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা দানের দাবি ওঠে। রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায় ভুক্ত শ্রেণীর এই দাবি দীর্ঘদিনের। এদিন কোচবিহারের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দন্ডবৎ বলে বলছি। রাজবংশী স্কুল অনেক ছিল তারা রাজ্যের মাইনে পেত না। আজ থেকে ২০০ স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি দিলাম। সরকারি মাইনে ও সুবিধা পাবেন। আমি ভাঙি না। আমি গড়ি। আমি নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন করে দিয়েছি। এর হেডকোয়ার্টার হচ্ছে মেখলিগঞ্জে।”
আরও পড়ুনঃ ৯৫৩৩ জন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীকে দিতে হবে চাকরি
এই ঘোষণার পরেই ভীষণ খুশি রাজ্যের রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার ফলে আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা গ্রহণের তাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার পড়ুয়া এই রাজবংশী ভাষায় শিক্ষা লাভের সুযোগ পেতে চলেছে। শিক্ষা মহল সূত্রে খবর ১৯২ টি স্কুলের মধ্যে ১২০ টি স্কুল কেবলমাত্র কোচবিহার জেলায়। এই স্কুলগুলিতে রাজবংশী ভাষায় পঠন-পাঠন চালু করার পাশাপাশি ঠিক হয়েছে প্যারা টিচারদের আপাতত এখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। পরবর্তী সময়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে রাজবংশী ভাষায় পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।