রাজ্যের বেকার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বিরাট সুখবর। এবার ৫০ হাজার শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইঙ্গিত মিলল রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মারফত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এমন সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে নানান জটিলতা। নিত্য নতুন এই সব ঝামেলার মাঝে ৫০ হাজার শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের গুঞ্জন আশা জাগিয়েছে রাজ্যের বেকার চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কোন প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির এই ইঙ্গিত, আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউর সময় ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর যাদের মধ্যে থেকে ৯,৫৩৩ জনের একটি মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে পর্ষদকে। বাকি প্রার্থীদের নাম বর্তমানে আইনি জটিলতার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। আইনি জটিলতা কাটলেই ২০১৭ সালের প্যানেল ভুক্ত বাকি চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়োগ করা হবে মেধা তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে।
☑️ প্রাথমিক নিয়োগের সমস্ত খবর সবার আগে পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল জয়েন করুন।
চাকরির খবরঃ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে সুপারভাইজার নিয়োগ
২০১৭ সালের নিয়োগ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি জানালেন, ২০১৭ সালের মেধাতালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরেই ২০২২ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করা হবে এবং সেখানে ৫০ হাজারেরও বেশি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশিত হবে ২০২২ সালের উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউর বিজ্ঞপ্তি। পর্ষদ সভাপতির এই বক্তব্যের পর অতিক্রান্ত হয়েছে ৪৮ ঘন্টা সময়। এখনও মেধা তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় অনশনে বসেছেন ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। এই অবস্থায় দ্রুত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ইন্টারভিউর ব্যবস্থা করবে কি না পর্ষদ সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজ্যবাসী।