রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে বেআইনিভাবে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে। সংশ্লিষ্ট মামলার ভিত্তিতে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং শিক্ষা দপ্তরের বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্তাদের গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসব কিছুর মাঝেই এবার প্রতিটি জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে রাজ্য সরকার জানতে চাইল, কোনও স্কুলে অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া কোনও শিক্ষক এখনো শিক্ষকতার কাজ করছেন কি না? রাজ্যের স্কুল পরিদর্শকদের কাছে শিক্ষা কমিশনারের এই সংক্রান্ত চিঠি ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, কোনও অবৈধ শিক্ষক এখনো স্কুলে কাজ করছেন কি না এ কথা তাদের জানার কথা নয়। শিক্ষকদের সুপারিশ পত্র দিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং নিয়োগপত্র দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেক্ষেত্রে কোন শিক্ষক যদি অবৈধভাবে নিয়োগপত্র পেয়ে থাকেন তার তথ্য সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিছুদিন আগেই একটি বিশেষ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে অবৈধভাবে নিয়োগ হওয়া শিক্ষক এখনো আছেন কি না তা জানতে চেয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত হওয়া সেই কমিটি রাজ্যের স্কুল পরিদর্শকদের ওই চিঠি পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রধান শিক্ষকদের তরফে আরও অভিযোগ জানানো হচ্ছে যে, স্কুল পরিদর্শকরা বিষয়টি তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, নতুন নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ পত্র এবং সুপারিশ পত্র দেখেই তারা শিক্ষকদের স্কুলে জয়েন করান। যেহেতু নিয়োগপত্র এবং সুপারিশপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জারি করা হয় তাই কোন শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োগ হলে তার তথ্য কোনও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকা সম্ভব নয়। এই বিষয়ে রাজ্যের স্কুল পরিদর্শকদের মতামত এই যে, হাইকোর্টের নির্দেশের কারণেই এই ধরনের চিঠি পাঠাতে হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মেনে অবৈধ শিক্ষকদের চিহ্নিত করার কাজে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। তাই প্রধান শিক্ষকদের এই বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছে।