WBCHSE HS Exam: ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের অন্যতম দুটি পরীক্ষা হল মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই দুটি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু হওয়ার পর পঠন-পাঠন এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল এসেছে। প্রাথমিক অর্থাৎ বুনিয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার গঠনগত বদলের প্রস্তাব পাশ হয়েছে লোকসভায়। নতুন শিক্ষানীতির অনুকরণে পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব শিক্ষানীতি লাগু করার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর পরিমার্জিত নতুন শিক্ষানীতি লাগু করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
নতুন এই শিক্ষানীতিতে উঠে যাচ্ছে চিরাচরিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সেমিস্টার পদ্ধতিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। একই বছরে দুটি পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। স্বাভাবিকভাবেই সেমিস্টার সিস্টেমে বছরে দুবার পরীক্ষা হলে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার কোন প্রয়োজন থাকবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের আলাদাভাবে টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি আর থাকছে না। দ্বাদশ শ্রেণীতে পঠন-পাঠন করার সময় বাইরের কোন স্কুলে দু’বার পরীক্ষা দেবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সেক্ষেত্রে বছরের শুরুতেই অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে পড়ুয়াদের।
আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন 2025
নতুন এই পদ্ধতিতে টেস্ট পরীক্ষা উঠে যাওয়ার সাথে সাথে বদল করা হচ্ছে সিলেবাস। শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গেছে উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা বিষয়ে বেশ কিছু পাঠ বদল করা হতে পারে। সময়ের সাথে তাল মেলানোর জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে। উচ্চ মাধ্যমিক পঠন-পাঠনের জন্য দ্বাদশ শ্রেণীতে মোট ২০০ ঘন্টা সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম সেমিস্টারে ১০০ ঘন্টা, দ্বিতীয় সেমিস্টারে ৮০ ঘন্টা, এছাড়া রেমিডিয়াল, টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং হোম অ্যাসাইনমেন্ট -এর জন্য ২০ ঘন্টা ধার্য করা হয়েছে।