স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন সোমবার ছিল শুনানি। সারাদিন সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি থেকে উঠে এল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। এসএসসি নিয়োগ মামলায় মোট ২৫ হাজার ৭৩৫ জনের চাকরি বাতিল সহ অন্যান্য রায় নিয়ে এদিন শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে।
এই মামলার শুনানি থেকেই সুপ্রিমকোর্টে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ আপডেটগুলি উঠে এল সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোন প্রকার স্থগিতাদেশ দিচ্ছে না সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট আরো জানিয়েছে প্যানেল বাতিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে হাইকোর্ট নিশ্চিতভাবে সঠিক। যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা তৈরি করার কাজটি সম্পূর্ণভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের। যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে কলকাতার হাইকোর্ট এই রায় শুনিয়েছে। লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে আগামী জুলাই মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ ৭০ হাজার প্রাইমারি শিক্ষকের চাকরি নিয়ে তৈরি হচ্ছে সংশয়
এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, “হাইকোর্টের রায় এখনই কোন স্থগিতাদেশ দিচ্ছি না। সিবিআই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা জুলাইতে আবার মামলা রাখছি। এখন শুধু সব পক্ষকে নোটিশ জারি করছি।” মূল মামলা কালীদের আইনজীবী মনিন্দর সিংহ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, “ওএমআর শিট মেলানো সম্ভব নয়। প্রত্যেকের দুটো করে ওএমআর শিট হবে। একটি এসএসসির কাছে অন্যটি নাইসার কাছ থেকে পাওয়া যাবে। এবার কোন ওএমআর শীটে কারচুপি হয়েছে কিনা সেটা কিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব? এর থেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করাই ভালো।”