অন্যান্য খবর

SSC নিয়োগ দুর্নীতির আঁচ রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনে! বাতিল হবে অধ্যাপকদের চাকরি?

Advertisement

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য জানানো হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। ফলকনামা স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এবার রাজ্যে নিয়োগ-দূর্নীতির আরেক অধ্যায় শুরু হলো কলেজ সার্ভিস কমিশনের ২০১৮ সালের সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলায় কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর কলেজ সার্ভিস কমিশনের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা এই বিষয়ে সরব হয়েছেন। তাদের অভিযোগ বর্তমান সরকারের ২০১১ সালের পর থেকে যে সমস্ত নিয়োগগুলি হয়েছে সেখানে মেধা তালিকায় কেবলমাত্র নাম এবং রোল নাম্বার উল্লেখ করা হয়। পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করা হয় না।

কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে অংশগ্রহণ করা বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা আরও জানাচ্ছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মতোই আরেকটি বৃহত্তর দুর্নীতির জায়গা হল কলেজ সার্ভিস কমিশন। যেখানে ইন্টারভিউতে ৪০ নম্বর রেখে অযোগ্যকে যোগ্য করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চাবিকাঠি রয়েছে। বেশিরভাগ কম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি হয়েছে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। সম্প্রতি এই দাবি তুলছেন ২০১৮ সালের মেধা তালিকা ভুক্ত চাকরি প্রার্থীরা। প্রার্থীরা ইউ জানাচ্ছেন কেন নির্দিষ্ট পরীক্ষার ভিত্তিতে স্কোর শিট প্রকাশ করছে না কলেজ সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির উদ্দেশ্যে যে প্রশ্নগুলি তোলা হয় তার মধ্যে একটি অন্যতম প্রশ্ন হল মেধা তালিকায়ে পরীক্ষার্থীদের নম্বর প্রকাশ না হওয়া।

রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনে

আরও পড়ুনঃ গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হবে জুন মাসে

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে সুর ছড়িয়েছেন বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। কলেজ সার্ভিস কমিশনের ২০১৮ সালের মেধাতালিকায় বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন এর মতোই কলেজ সার্ভিস কমিশনে প্রত্যেকটি বিষয়ে দুর্নীতি সমান অথবা স্কুল সার্ভিস কমিশনের থেকেও বেশি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মত কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগেও অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে মেধা তালিকা বহির্ভূত অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে যা কেবলমাত্র আদালতে প্রমাণ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। দ্রুত এই বিষয়ে তদন্ত শেষ করে যথাযোগ্য রিপোর্ট আদালতে পেশ করার আবেদন জানাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

রাজ্যের কলেজ সার্ভিস কমিশনে

Related Articles