চাকরির খবর

অবশেষে রাজ্যের ৬০১ টি শুন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল! কিভাবে, কোন জেলায় নিয়োগ বিস্তারিত জানুন

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ এবং দুর্নীতির মাঝেই জেলায় শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দপ্তর। বিস্তারিত তথ্য জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

Advertisement

শিক্ষা দপ্তরের সাম্প্রতিক নোটিফিকেশন অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে এল। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় ৬০১ টি প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে। দীর্ঘ সময় ধরে এই সমস্ত স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক ছিল না। যে কারণে জেলার ১৩ টি সার্কেলের অধিকাংশ বিদ্যালয় পঠন পাঠনজনিত বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধানে এবার তৎপর হল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে দ্রুত এই সমস্ত শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।

বুধবার ফালাকাটা উত্তর এবং আলিপুরদুয়ার উত্তর সার্কেলের ৯০ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আবেদনকারীদের কাছ থেকে তাদের পছন্দমত বিদ্যালয়ের নাম নেওয়া হয়েছে। জমা নেওয়া তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলির শূন্যপদের সংখ্যা বিচার করে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এড়াতে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি বিদ্যালয় পছন্দের ব্যাপারে যাতে পরবর্তীতে কোন প্রকার জটিলতা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করে রাখছে শিক্ষা সংসদ।

শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের একাধিক স্কুলে প্রায় ৪ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা

প্রাথমিকভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই স্বচ্ছতা দেখে সকলেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি কৌশিক সরকার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। এই নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের অথবা অন্যান্য কারো কোন আপত্তি থাকার কথা নয়। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন জানিয়েছেন, এই নিয়োগের ফলে পঠন পাঠনের সমস্যা প্রায় মিটে যাবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী সময়ে যদি কোন শূন্যপদ থেকে যায় তাহলে পুজোর পর সেই সমস্ত শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নেবে শিক্ষা দপ্তর।

শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল

Related Articles