মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরু হতে আর একেবারেই বেশি দিন সময় নেই। বলা যেতে পারে পরীক্ষা একেবারে দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতির এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরে ৯ লক্ষ ৫০ হাজারের কিছু বেশি ছাত্র- ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার দুর্নীতি কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রও পরিবর্তন নিয়ে এলো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আবার এক নতুন খবর আনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। এবারে বদলাতে চলেছে ছাত্র- ছাত্রীদের প্রথম বড় পরীক্ষার খাতা দেখার নিয়ম। এতদিন পর্যন্ত শিক্ষক- শিক্ষিকারা মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার সময় লাল কালির কলম ব্যবহার করতেন। এর পাশাপাশি প্রতিটি উত্তরের পাশে তার প্রাপ্ত নম্বর লেখা থাকতো এবং সম্পূর্ণ পাতায় থাকা মোট নম্বর লেখা হতো উত্তরপত্রের উপরের অংশে। তবে এই বছর থেকে এই নিয়মে আসতে চলেছে কিছুটা পরিবর্তন।
মাধ্যমিক ২০২৫ বাংলা প্রবন্ধ সাজেশন
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনার জন্য আলাদা করে ‘কেজিং শিট’ -এর ব্যবস্থা করতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রত্যেকটি খাতা পিছু একটি করে ‘কেজিং শিট’দেওয়া হবে শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে। ছাত্র- ছাত্রীদের প্রত্যেকটি প্রশ্নের প্রাপ্ত নম্বর সেই ‘কেজিং শিট’ এ উল্লেখ করতে হবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। খাতা দেখার পর ‘কেজিং শিট’ গুলি প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা করতে হবে।
প্রতিবছরের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে হাতা হারিয়ে যাওয়া কিংবা কালির রং আবজা হয়ে যাওয়া বা একাধিক কাটাকুটির কারণে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বুঝতে অসুবিধা হয়। পরবর্তী সময়ে স্ক্রুটিনি করা হলে বহু শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর অনেকটা করে বেড়ে যাওয়ারও নজির রয়েছে। এই নয়া পরিবর্তনের স্বপক্ষে বাঙ্গুর ইনস্টিটিউটের প্রধানশিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, “এই ‘কেজিং শিট’ চালুর ফলে উপকৃত হবেন সকলেই।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চ আধিকারিক এর মত অনুযায়ী, পরীক্ষা পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভুল করার উদ্দেশ্যে এই নতুন সংশোধন করা হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক ভূগোলে ভয়? রইলো মাধ্যমিক ভূগোল ৫ নম্বরের প্রশ্নের সাজেশন
এই নয়া সংযোজনে স্ক্রুটিনি বা আরটিআই করার সময় উত্তর-পত্র মেলাতে অনেকাংশে সুবিধা হবে এবং এর ফলে ছাত্র ছাত্রীর সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলেই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষার খাতা দেখার সময় খাটনি আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। এই বিষয়েও চিন্তিত হয়েছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা।