শিক্ষার খবর

ইংরেজিতে ক্লাস বুঝতে অসুবিধা! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লো বহু পড়ুয়া

Advertisement

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ছে বহু পড়ুয়া। হঠাৎ কী কারনে পশ্চিমবঙ্গের এই প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েও মাঝপথেই ছাড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তার কারন যা জানা যাচ্ছে তা হল ভাষাগত সমস্যা। ইতিহাস বিভাগের এক ছাত্র, যার নাম আলি হোসেন তার কথায় অনেকটা স্পষ্ট হয় বিষয়টি। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে অনেক স্বপ্ন নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের ছেলে আলি হোসেন। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই ইউনির্ভাসিটির ক্লাসে ধাক্কা খেতে থাকে আলি হোসেন।

কারন কলেজের সব ক্লাসই ইংরেজি ভাষায়। এমনকি কলেজের অধ্যাপকগণ যে নোটস এবং পিডিএফ শেয়ার করছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাও ইংরেজি ভাষায়। বরাবর বাংলা মাধ্যমের ছাত্র আলি। সেখান থেকে এই মেধাবী ছাত্র হঠাৎ ইংরেজির এই অত্যাধিক চাপে পড়ে বিভ্রান্ত হয়ে উঠছে। সংবাদমাধ্যমে আলি জানায় যে, তার বাড়ির ওই এলাকা থেকে সেই প্রথম যাদবপুরে ভর্তি হয়েছিল। অনেক স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু একটা সেমিস্টার দেওয়ার পরেই তাকে যাদবপুর ছেড়ে দিতে হল বলে তার আক্ষেপ।

আরও পড়ুনঃ
রাজ্যের স্কুলে ক্লার্ক ও পিওন নিয়োগ
সরকারি হোস্টেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশে চাকরির সুযোগ
বহরমপুর আর্মি র‍্যালি ২০২২

প্রায় একই রকম অভিজ্ঞতার কাহিনী শোনা গেছে ইতিহাস বিভাগের অন্যান্য বহু বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের মুখে। সুন্দরবন থেকে উত্তরবঙ্গ প্রায় প্রতিটি স্থান থেকে আগত বাংলা মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের মুখে একটাই কথা। ভাষাগত সমস্যার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হয়েছে। এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও অধ্যাপকদের থেকে কোনোরূপ ধনাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ। কিন্তু অধ্যাপকদের বক্তব্য, যেহেতু উচ্চস্তরীয় শিক্ষাক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমের বইপত্র সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু আঞ্চলিক ভাষায় তেমন বইপত্র পাওয়া মুশকিল, তাই পড়ুয়াদের ইংরেজি ভাষায় শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়া হয়।

বেশ কিছু বিভাগের প্রধান অধ্যাপকগণ বলেন এমন সমস্যার কথা আগেও শুনেছি। কিন্তু খুব কম সংখ্যক ছাত্র- ছাত্রীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা থাকে। তারপরেও সমস্যা থাকলে নিজেদের ডিপার্টমেন্টে জানানো যেতো, এর জন্য সংবাদমাধ্যমে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের এক সদস্য বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে অতি শীঘ্রই। সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আর্টসের বিষয়গুলোতে। সেদিকেই নজর থাকবে।

Related Articles