রাজ্যে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে আবারও সরগরম মন্তব্য হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। এদিন অনৈতিক ভাবে শিক্ষক পদ থেকে বরখাস্ত এক মামলায় বিচারপতি মন্তব্য, ‘টাকা না দিলে এ রাজ্যে চাকরি মেলে না।’
আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মুর্শিদাবাদ জেলার একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পান মিরাজ শেখ নামের একজন ব্যক্তি। কিন্তু স্নাতক স্তরে মিরাজ শেখের কম নম্বর ছিল, এই অজুহাতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তাকে চাকরি পাওয়ার চার মাস পরেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় মিরাজ শেখ নামের এই শিক্ষক। মামলার আবেদনে মিরাজ শেখের আইনজীবী জানান, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন – এর নিয়ম অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষিত পদে চাকরি পেতে হলে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় প্রার্থীকে ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকতে হবে। জেনারেল প্রার্থীর থাকতে হবে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর। মিরাজের স্নাতক স্তরে ৪৬ শতাংশ নাম্বার ছিল। এছাড়া এও জানান, মিরাজ শেখ সংরক্ষিত পদেই চাকরির আবেদন করেন।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে সেরা ৫ টি চাকরির খবর
এদিন এই মামলায় রায় দানের সময় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ একপ্রকার রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করেন এবং বলেন, পশ্চিমবঙ্গ এমন এক রাজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে টাকা না দিলে চাকরি মেলে না। তাছাড়া সরাসরি প্রাক্তন প্রাথমিক বোর্ডের সভাপতিকে কটাক্ষ করে বলেন, মামলাকারী হয়তো মানিক ভট্টাচার্যকে টাকা দেয়নি তাই তার চাকরি বাতিল করা হয়েছে। বিচারপতির আরোও কটাক্ষ মামলাকারী প্রার্থীর যে স্নাতকস্তরে কম নম্বর রয়েছে তা চাকরি দেওয়ার সময় নজরে পড়েনি কেন? সার্ভিস বুক তৈরীর সময় নজরে পড়লো! এমনও হওয়া সম্ভব। সবশেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন অতি শীঘ্রই ঐ শিক্ষককে পুনরায় শিক্ষক পদে বহাল করতে হবে। তার চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে পুনরায়।