এক দিনে তিন ধাক্কা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালত। প্রথমে, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম সৌমেন নন্দীর মামলা, এরপর বিচারপতির এজলাসে থাকা পুর দুর্নীতি মামলায় ইডি-সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ, তারপর বিচারপতির সাক্ষাৎকারের প্রতিলিপি ও হলফনামার নথি চেয়ে পাঠানোর নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ শোনার পর বিচারপতির বক্তব্য, ‘ধীরে ধীরে সব মামলাই তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
শুক্রবার সারাদিনে শীর্ষ আদালতের একের পর নির্দেশ গিয়েছে বিচারপতির বিরুদ্ধে। রাত ৯টা ৩৯ মিনিট নাগাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে বেরিয়ে আসা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য যখন প্রশ্ন করা হয়, ‘নিয়োগের কোনো মামলাই কি আপনার এজলাসে থাকছে না?’ তার জবাবে বিচারপতি জানান, ওঁনার ধারণা ধীরে ধীরে সব মামলাই তাঁর এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে। সাথে তাঁর সংযোজন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলাই ওঁনার কাজ। বিচারপতি বলেন, “আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট যা বলবে আমরা তাই করবো।”
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে এবার ‘জনপ্রতিনিধিরা’
যদিও বিচারপতি এদিন আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। তাঁর বক্তব্য, “যত দিন বিচারপতি থাকবো, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বো। আর যখন থাকবো না, যখন অন্য কাজ করবো, তখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বো। প্রসঙ্গত, রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে যেভাবে এতদিন লড়ে এসেছেন বিচারপতি, পাশে থেকেছেন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের, তাতে হারিয়ে ফেলা স্বপ্ন ফের একবার দেখতে শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাই বিচারপতির এজলাস থেকে অন্য এজলাসে মামলা স্থানান্তরিত হলে তার ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে আশঙ্কায় চাকরিপ্রার্থীরা। পরবর্তীতে দুর্নীতি মামলার মোড় কোনদিকে ঘুরবে তা এখন কেবলই সময়ের অপেক্ষা।