চেষ্টার অসাধ্য কিছুই নেই। কেবলমাত্র একাগ্রতা আর জেদটাই প্রয়োজন হয় লক্ষ্যপূরণের জন্য। আর এই উদ্যম আর জেদকে সামনে রেখেই, নিজের স্বপ্নকে ছোঁয়ার জন্য সর্বভারতীয়স্তরে সবচেয়ে কঠিন চাকরি পরীক্ষার বাধা টপকেছেন কলকাতার মেয়ে অঙ্কিতা আগরওয়াল।
UPSC চূড়ান্ত স্তরের পরীক্ষায় ১০ হাজার জনের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন কলকাতা লেকটাউনের বাসিন্দা অঙ্কিতা। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কলকাতার এই কন্যা। তিন বার তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়েছেন। তৃতীয়বারে লক্ষ্যভেদ। কীভাবে সাফল্য পেলেন তিনি? জানিয়েছেন ‘ধন্যি মেয়ে’ অঙ্কিতা।
চাকরির খবরঃ বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে দেখুন
কীভাবে সাফল্য পেলেন অঙ্কিতা? কী বলেছেন তিনি?
ফলাফল ঘোষণার পর একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা বলেন, ২০১৯ সালে প্রথমবার আমি UPSC পরীক্ষা দিই। কিন্তু, সেইবার আমি সফল হতে পারিনি।” প্রথমবার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেওয়ার সময় একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে চাকরি করতেন অঙ্কিতা। কিন্তু, দ্বিতীয়বার UPSC-তে বসার প্রস্তুতির জন্য সেই চাকরিও ছেড়ে দেন অঙ্কিতা। কিন্তু, দ্বিতীয়বারও সফল হননি তিনি। সফল না হয়ে হতাশ হননি। বরং আরও জোরকদমে শুরু করেন প্রস্তুতি। তৃতীয়বারে ধরা দিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত সাফল্য। অঙ্কিতা জানান, তিনি সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তার সাফল্যের চাবিকাঠি হাতে পেতে।
অঙ্কিতা বলছেন, সিভিল সার্ভেন্ট হতে চাইলে প্রথম থেকেই লক্ষ্য স্থির করে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ জীবনের কঠিন সময়, ব্যর্থতার মুহূর্তগুলিতে এই স্বপ্নপূরণের খিদেই প্রেরণা জোগাবে একজন পরীক্ষার্থীকে। কেরিয়ার গড়তে দু নৌকায় পা দিয়ে চলা যাবে না। তিনি আরও জানান কখনও ৮ ঘণ্টা তো কখনও ১২ ঘণ্টা করে দিনে পড়াশোনা করেছেন। তবে প্রস্তুতিতে এক শতাংশও ফাঁকি দেওয়া চলবে না বলে ভবিষ্যতের পরীক্ষার্থীদের আগাম সতর্ক করে দিয়েছেন অঙ্কিতা। প্রস্তুতি নিয়েছেন কোচিং সেন্টারে। কোনো কোনো সময় অনলাইনেও প্রস্তুতি নিয়েছেন। সব মিলিয়ে অঙ্কিতার সফলতায় কেবল অঙ্কিতার পরিবার নয়, গোটা বাংলা গর্বিত।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে টুরিস্ট গাইড পদে নিয়োগ