অন্যান্য খবর

Success Story: প্রথম দুবারে হয়নি স্বপ্নপূরণ, হাল না ছেড়ে তৃতীয়বারেই লক্ষ্যভেদ! UPSC-তে ১৪ র‍্যাঙ্ক বাংলার তরুণীর

সফল হওয়ার অদম্য জেদ থাকলে যেকোনো বাধাই উত্তীর্ণ হওয়া যায়। প্রমাণ করে দেখিয়ে দিলেন বাংলার মেয়ে অরুণিমা। আজকের প্রতিবেদনে রইল তার সাফল্যের গল্প।

Advertisement

ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-এর পরীক্ষায় পাশ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন থাকে অনেকেরই। আমরা সবাই জানি ইউপিএসসির পরীক্ষাগুলি দেশের কঠিনতম পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় একবারে পাশ করা মোটেই মুখের কথা নয়। তবে যাঁরা স্বপ্ন দ্যাখেন ও স্বপ্ন পূরণের জেদ রাখেন তাঁদের জন্য অসম্ভব নয় কিছুই। যাবতীয় বাধা পেরিয়ে লক্ষ্যভেদ তাঁরা করবেই। আজকের এই প্রতিবেদনে তেমনই একজন বঙ্গসন্তানের কাহিনী তুলে ধরা হল। যিনি পরপর দুবছর ব্যর্থ হলেও তৃতীয় বারের চেষ্টায় তাঁর লক্ষ্যভেদ করেছেন। তিনি আর কেউ নন খড়গপুরের মেয়ে অরুণিমা ভাওয়াল। নিজ চেষ্টায় ও নিজ যোগ্যতায় আজ তিনি ইউপিএসসি বিজয়ী।

অরুণিমা ভাওয়াল হুগলির শ্রীরামপুরের মেয়ে হলেও বাবার কাজের সূত্রে থাকতেন খড়গপুরে। রেলশহর খড়গপুরেই তাঁর ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা। তাঁর স্কুলিং শুরু হয়েছিল নিমপুরা আর্য বিদ্যাপীঠ থেকে। ২০১৪ সালে মাধ্যমিক পাশের পর ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। দুই বোর্ড পরীক্ষাতেই নজরকাড়া রেজাল্ট করেন অরুণিমা। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনে বি.টেক পাশ করেন তিনি। পরে খড়গপুর আইআইটি থেকে করেন এম.টেক। তাঁর বাবার মতো একসময় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পথে যেতে চেয়েছিলেন অরুণিমা। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তাঁর আসল ঝোঁক ইউপিএসসি পরীক্ষার দিকে।

আরও পড়ুনঃ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে প্রশিক্ষণ ছাড়াই IAS অফিসার দৃষ্টিহীন তরুণী প্রাঞ্জল

প্রথম দুবারে হয়নি স্বপ্নপূরণ

সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করেন অরুণিমা। চলতো দিনরাত এক করে পড়াশোনা। তাঁর মা এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়লেও পড়াশোনা করতেন অরুণিমা। শখ, স্বাচ্ছন্দ্যকে দূরে রেখেই চলতো তাঁর পরিশ্রম। কিন্তু স্বপ্ন ছোঁয়া কী এতই সহজ? পরপর দু-বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন অরুণিমা। সে সময় ভেঙে পড়লেও হাল ছাড়েননি তিনি। তৃতীয়বার ফের বসেন পরীক্ষায়। আর এবারেই হলো লক্ষ্যভেদ। পরীক্ষায় ১৪ র‍্যাঙ্ক করে সফল হন অরুণিমা ভাওয়াল। তাঁর এই সাফল্যে খুশির জোয়ার পরিবারে। মুখে হাসি ফুটেছে বাবা-মায়ের। হাল না ছাড়ার কাহিনী লিখে আজ সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে রইলেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যে ৬ হাজার শূন্যপদে ক্লার্ক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত

প্রথম দুবারে হয়নি স্বপ্নপূরণ

Related Articles