জাতীয় শিক্ষানীতি তিনের পরিবর্তে চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন চালুর প্রস্তাবনা দেয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গে চালু হওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর রাজ্যে চালু হয়েছে চার বছরের স্নাতক কোর্স প্রোগ্রাম। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জাতীয় শিক্ষানীতিকে মেনে নেয়নি রাজ্য। বরং পড়ুয়াদের ভবিষ্যত চিন্তা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ নিয়ে আলোচনা এখনও থামেনি। এক পক্ষের মতে, চার বছরের স্নাতক কোর্স চালু করা আর কেন্দ্রের শিক্ষানীতিকে মেনে নেওয়া একই ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, সে সময় বিধানসভার এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সত্যি খোলসা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গে বিধানসভায় মন্তব্য রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্য সরকার পুরোপুরি মানেনি। উল্টে একটি ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স চার বছর হওয়ায় রাজ্য সরকার এটি মেনে নিয়েছে। আসলে এটি রাজ্য দ্বারা গঠিত কমিটির সুপারিশ। এটা না করলে ছাত্রছাত্রীরা সমস্যায় পড়তেন। তাই এটি করা হয়েছে। তবে, বেশ কিছু ইস্যু থাকায় জাতীয় শিক্ষানীতি মানতে রাজ্যের আপত্তি আছে।’ এর আগেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর এবার ফের চার বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স চালুর সিদ্ধান্তকে জাতীয় শিক্ষা নীতির মান্যতা বহির্ভূত সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এদিন শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স রেখে দিলে বিগত বাম সরকারের প্রথম শ্রেণী থেকে ইংরেজি তুলে দেওয়া বা ব্রিজ কোর্স করার মতো বা হয়তো তার থেকেও বেশি ছাত্র বিরোধী সিদ্ধান্ত হতো।”
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন কবে থেকে হবে রাজ্যের ডিএলএড পরীক্ষা
এর আগে শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও বিষয়টি উল্লেখ করেন যে, রাজ্যের পড়ুয়াদের সর্বভারতীয় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে চার বছরের গ্র্যাজুয়েশনের পাঠ্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটি না হলে ছাত্রছাত্রীদের বাইরের রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তো। সেই মতো চার বছরের পাঠ্যক্রম চালু হয়েছে রাজ্যে। তবে আশঙ্কার বিষয় এটাই, কলেজ ভর্তি শুরু হতে দেখা যাচ্ছে চার বছরের অনার্স কোর্সের বদলে তিন বছরের জেনারেল কোর্সে পড়ার আগ্রহ বেশি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।