রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গত বাজেটে জানানো হয়েছিল জেলায় জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (BSK) গড়ে তোলা হবে। এবং এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে সরকারি পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই কথা মতো রাজ্য জুড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু হতে চলেছে। প্রতিটি বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে মোট দুজন করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর (ডিইও) কাজ করবেন। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মোট দু’দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে সাধারণ মানুষকে যে পরিষেবা দেওয়া হবে, সেই পরিষেবা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা।
এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের জন্য রাজ্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে চুক্তিভিত্তিক ভাবে দুজন কর্মী কাজ করবে, এবং কেন্দ্রগুলিতে কম্পিউটার, স্ক্যানার ও প্রিন্টার দেবে রাজ্য সরকার। জেলাশাসকের অফিস, মহকুমা শাসকের অফিস, বিডিও অফিস, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সরকারি গ্রন্থাগার এবং স্কুল ইনস্পেক্টর দের অফিসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এই কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মোট ২০২ টি সরকারি পরিষেবা অনলাইনে গ্রহণ করতে পারবেন। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, কাস্ট সার্টিফিকেট, কৃষি, খাদ্য, পুর ও নগর উন্নয়ন, পঞ্চায়েত, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যাবে এই কেন্দ্রগুলিতে। কেন্দ্র গুলি থেকে পরিষেবা নেওয়ার জন্য কোনরূপ খরচ করতে হবে না গ্রাহকদের। রাজ্য সরকারের যে তথ্য মিত্র কেন্দ্র গুলি আগে এই ধরনের পরিষেবা প্রদান করত, সেগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারন তথ্য মিত্র কেন্দ্র থেকে পরিষেবা নেওয়ার জন্য গ্রাহককে ফি দিতে হতো। তবে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র পরিষেবা পাওয়ার জন্য কোন টাকা লাগবে না।