২০২০ সালের বন সহায়ক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে। এই দাবি তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন ৫০ জন প্রার্থী। মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রায় ২ হাজার জনের বন সহায়ক নিয়োগের পুরনো প্যানেল বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, শূন্যপদে নতুন নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পুরনো প্যানেলে থাকা প্রার্থীদের একাংশ।
বেশ কিছু দিন আগে এই মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে মামলাটি গ্রাহ্য হয়না সেখানে। এরপর মামলাকারীরা হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে আবেদন করেন। সম্প্রতি বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলাটি শোনার অনুমতি দিয়েছে। তবে আদালতের নির্দেশ, দ্রুত মামলার শুনানি হবে না। বরং গরমের ছুটির পর এই মামলাটি শুনতে পারে আদালত।
আরও পড়ুনঃ ইউপিএসসি, সফল হয়ে স্বপ্ন পূরণ বঙ্গকন্যা দিয়ার
এদিকে, বন সহায়কের অস্থায়ী পদে প্রার্থীদের আবেদন নিয়েছে রাজ্য। প্রায় ২০০০ পদে বন সহায়ক নিয়োগ করা হবে। ২৯ মে শেষ হয়েছে আবেদন জমার সময়সীমা। নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার ৬০ টি পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার! মালদহ ও দুই দিনাজপুরে এই সংখ্যাটা প্রায় ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। আলিপুরদুয়ারে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার আবেদনপত্র। শুধু তাই নয় আবেদন জানানো তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চশিক্ষিত। যা দেখে কার্যত স্তম্ভিত বন দফতরের বহু কর্তা। তাঁদের কথায়, চাকরির অভাব রাজ্যে কোন স্তরে পৌছেছে তারই বাস্তব চিত্র এটি।
আরও পড়ুনঃ এবার থেকে এক বছরেই মাস্টার্স