হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে। এই শিক্ষকরা আগামী চার মাস প্যারাটিচার হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পার্শ্ব শিক্ষকের বেতনেই খুশি থাকতে হবে তাঁদের। তবে এবার নিজের নির্দেশ সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নয়, আপাতত ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হতে চলেছে। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। ১২ মে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি, সেখানে ৩৬ হাজারের উল্লেখ ছিল। সেই নির্দেশ এবার সংশোধন করে নিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, বিচারপতির বক্তব্য, ‘এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এত দুর্নীতি হয়েছে যে তা বাতিল করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলনা।’ তাঁর কথায়, ‘এই ব্যাপক বেনিয়মের মধ্যে কে বৈধভাবে চাকরি পেয়েছে, আর কে অবৈধ তা খুঁজে বের করা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিল পর্ষদ
চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকেরা প্রাথমিকের ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। যাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেছেন, এবং টেট ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হবেন, তাঁরা নিজেদের চাকরি ফেরত পেতে পারেন। এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে, চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।