কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হলো আরও তিন প্রাথমিক শিক্ষকের! এদিন আদালতে ছিল এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সংশ্লিষ্ট তিন শিক্ষকের নথি পত্র খতিয়ে দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন। এদিনের পর চাকরি বাতিল হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫৫।
গত বছর প্রায় ২৬৮ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই সকল প্রার্থীরা দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। সর্বোচ্চ আদালত থেকে ফের তাঁদের কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পাঠিয়ে চাকরির বৈধতা প্রমাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত জানায়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ফের দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশানুসারে চাকরি বাতিল হতে থাকে একের পর এক প্রাথমিক শিক্ষকের।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের পলিটেকনিক কলেজে গ্রুপ- ডি পদে কর্মী নিয়োগ
গত বছরের ডিসেম্বরে ৫৩ জন, তারপর ১৪০ জন, তারপর ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে উচ্চ আদালত। তখনই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫২ জন। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, বাকি প্রার্থীদের নথি পরের শুনানিতে খতিয়ে দেখা হবে। সোমবার ছিল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এদিন তিন জন প্রাথমিক শিক্ষক তাঁদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য দ্বারস্থ হন আদালতের। তবে এই প্রার্থীদের নথি খতিয়ে দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের চাকরি বাতিল করলেন। বর্তমানে বাতিল হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা পৌছলো ২৫৫ তে! আগামী দিনে এই পরিস্থিতি কোন দিকে যায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী।