দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সফলতা পেলেন ৭১ জন চাকরিপ্রার্থী। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই সকল প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। অন্যায় করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সরাসরি নির্দেশ, আগামী দুই মাসের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে এই ৭১ জন প্রার্থীকে।
সূত্রের খবর, ২০১০ সালে হাওড়া জেলার নিয়োগ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে দাবি তুলে ২০১২ সালে ওই প্রক্রিয়াকে বাতিল করে বর্তমান রাজ্য সরকার। এরপর আদালতে মামলা চলে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ফের পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে সময় শূন্যপদ ছিল প্রায় ১২০০-এর কাছাকাছি। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষা ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হলে তাতে অংশগ্রহণ করেন প্রার্থীরা। পাশও করেন তাঁরা। এদিকে বেশ কিছু জন চাকরিপ্রার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেন এই মর্মে যে, তাঁরা যোগ্য হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে আবেদন না করা, পরীক্ষায় না বসা, উপযুক্ত নম্বর না থাকা অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে হাওড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।
আরও পড়ুনঃ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল শিক্ষা পর্ষদ
এ নিয়ে মামলা চলছিল বহুদিন ধরেই। নিজেদের দাবি তুলে বারবার সরব হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে রায় গেল তাঁদের পক্ষেই। এই প্রার্থীদের সাথে অন্যায় হয়েছে বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি। এই ৭১ জন প্রার্থীকে অতি শীঘ্রই চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।