গ্রুপ ডি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়েছে সম্প্রতি। এর সাথে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বেতন ফেরত দিতে হবে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন গ্রুপ ডি প্রার্থীরা। তবে এবার স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালে এসএসসি গ্রুপ ডির নিয়োগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। জানা যায়, ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বহু গ্রুপ ডি প্রার্থীকে। এরপর এই সকল অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এর জন্য চব্বিশ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ মেনে এসএসসি বেআইনি পথে নিয়োগ পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর সুপারিশপত্র বাতিল করে। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, চাকরি বাতিল হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীরা এরপর কোনোও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না সাথে তাঁদের এতদিনের বেতন ফেরত দিতে হবে। পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়ে গ্রুপ ডি কর্মীরা দাবি করেন, এতদিনের কষ্ট করে উপার্জন করা বেতন তাঁরা ফেরত দেবেন কেন।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে ইন্ডিয়ান ওয়েলে কর্মী নিয়োগ
যদিও এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ বেতন ফেরতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ মার্চ। সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের বক্তব্য, বেতন ফেরতের বিষয়টি তাঁরা আরও একবার পর্যবেক্ষণ করবেন। অতএব এখনই গ্রুপ ডি মামলাকারীদের বেতন ফেরত দিতে হচ্ছে না। প্রসঙ্গত গ্রুপ ডি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের বাকি সিদ্ধান্তগুলি বজায় রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে বেতন ফেরত প্রসঙ্গে স্থগিতাদেশের নির্দেশ থাকায় বর্তমানে কিছুটা স্বস্তিতে গ্রুপ ডি মামলাকারীরা।