হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে এসএসসি মামলা আবার নয়া মোড় নিলো। বেআইনি ভাবে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে এদিন কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিচারপতি বলেন, যারা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তারা জানেন যে পয়সা দিয়ে চাকরিটি পেয়েছেন, তারা নিজেরা এগিয়ে এসে চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়লে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনোরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না আদালত। কিন্তু যদি পরবর্তীতে আদালতের পর্যবেক্ষণে বেআইনি ভাবে নিয়োগে দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে চরমতম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে হাইকোর্ট।
এদিন আদালতে নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশ গ্ৰুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি এর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই রিপোর্টে সিবিআই জানায়, উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক নিয়োগে ৯০৭ জনের নম্বরে গরমিল রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই নম্বর পেয়েছে। গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি এর ক্ষেত্রে এই নম্বর গরমিলের সংখ্যাটি যথাক্রমে ৩৪৮১ এবং ২৮২৩ টি। এছাড়াও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে প্রায় ৯৫২ জনের নাম্বারের গরমিল ধরা পড়েছে সিবিআইয়ের তদন্তে।
আরও পড়ুনঃ
হাওড়া ও শিয়ালদহ রেল ডিভিশনে নিয়োগ চলছে
প্রাইমারি টেট সিলেবাস ২০২২ ডাউনলোড
মাধ্যমিক পাশে আশা কর্মী নিয়োগ
এদিন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ স্তরে শিক্ষক নিয়োগে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মেধা তালিকার ক্রম ভেঙে অনেকে চাকরি পেয়েছেন। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রদত্ত নিয়ম নিয়মবহির্ভূত বেআইনি নিয়োগের তালিকায় রয়েছে নবম দশমের ক্ষেত্রে মাত্র ১৮৩ জন এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে মাত্র ৩৯ জন। যা সন্দেহাতীত।
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরো বলেন, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করছে। এটুকুতে কাজ না হলে ইডিকে নির্দেশ দেবো কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এস.পি সিনহা এদের জেরা করতে। দুর্নীতির একদম গোড়ায় পৌঁছানোই লক্ষ্য। বেআইনিভাবে যারা চাকরি পেয়েছেন, তারা যদি প্রদেয় সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করেন, তাহলে পরবর্তীকালে যাতে আর কোনোরূপ সরকারি চাকরি না পেতে পারে তারও ব্যবস্থা করবে কলকাতা হাইকোর্ট।