২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। আর এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ২০১৬ সালের টেট ইন্টারভিউতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। কেন ঘটেছিল এহেন ঘটনা? পাঁচ জেলার ইন্টারভিউয়ারদের তলব করলেন বিচারপতি।
২০১৬ সালের টেট ইন্টারভিউ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। আদালতে চাকরিপ্রার্থীরা দাবি করেন, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার দ্বারা ২০১৬ তে যে টেট ইন্টারভিউ আয়োজিত হয়েছিল সেখানে কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের। অতএব বোঝাই যাচ্ছে বিস্তর জালিয়াতি হয়েছে সেখানে। এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল শ্রেনীকক্ষেও নয় বারান্দায় নেওয়া হয়েছিল ইন্টারভিউ। এরপর সংশ্লিষ্ট বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১৬ টেট ইন্টারভিউ সম্পর্কিত তথ্যাবলী রিপোর্ট আকারে পেশ করার নির্দেশ দেয় পর্ষদকে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ
এদিন মামলার শুনানিতে পর্ষদের হলফনামা দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট হলফনামা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্টের ব্যাপারই ছিলনা সেখানে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে এদিন বিচারপতি হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদ জেলার ২০১৬ সালের টেট ইন্টারভিউয়ারদের আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।