রাজ্যের প্রাইভেট স্কুলগুলির মাত্রাতিরিক্ত ফি বৃদ্ধিতে জর্জরিত অভিভাবকেরা। দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ফি-এর পরিমাণ। দশ, বিশ, তিরিশ হাজারের নীচে কথাই বলে না এখন বেসরকারি স্কুলগুলি। আর এবার এই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির কড়া বিরোধিতা করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি, বেসরকারি স্কুলগুলির এহেন বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্যের কোনো মতামত থাকবে কিনা তা জানতে চাইলেন তিনি।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘ছাত্রছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না, ইচ্ছে মতো টাকায় শিক্ষা বিক্রি হতে পারে না’। স্কুলগুলির ক্রমাগত বেতন বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, ‘বেসরকারি স্কুল যেমন খুশি টাকায় শিক্ষা বিক্রি করতে পারে না’। বিচারপতি বসুর মতে, বেসরকারি স্কুলগুলির উপর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি। বেসরকারি স্কুলগুলির ফি স্ট্রাকচার রাজ্য ঠিক করতে না পারলেও স্কুলগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা রাজ্যের উচিত বলেই মনে করেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার ছাড়াই চাকরি
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই প্রাইভেট স্কুলগুলির মাত্রাতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ্য না থাকায় প্রাইভেট স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করা থেকে বিরত থাকছেন বহু অভিভাবক। স্কুলের ফি জোগাড় করতে গিয়ে কার্যত নাভিশ্বাস পরিস্থিতি মধ্যবিত্তের। কিন্তু তাতেও রেহাই মিলছে কই? দিনকে দিন বাড়ছে ফি-এর পরিমাণ। তবে এবার এই পরিস্থিতির একটি সুষ্ঠু সমাধান চায় আদালত। আগামী ২১ জুন মামলার শুনানি। রাজ্যের অ্যাডভোকেড জেনারেলকে মামলায় সওয়ালের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ ভুয়ো শিক্ষক ধরতে সক্রিয় শিক্ষা দফতর