নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে তোলপাড় রাজ্য! আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হচ্ছে একের পর এক বেআইনি শিক্ষকদের। এরইমধ্যে এদিন ভুয়ো নিয়োগপত্রের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মালদার এক ‘ভুয়ো’ শিক্ষক। এতদিন ভুয়ো শিক্ষকেরা বরখাস্ত হলেও গ্রেফতারির ঘটনা কার্যত এই প্রথম। গ্রেফতার হওয়া শিক্ষকের নাম মহম্মদ মহসিন। হাইকোর্টের নির্দেশে মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানা গ্রেফতার করেন তাঁকে। ২০১৯ সালে তাঁর বেতন বন্ধ করা হয়েছিল। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে যান তিনি। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয় তাঁর চাকরির নিয়োগপত্রটিই আসলে ভুয়ো!
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির জটিলতা ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। এহেন বাতাবরণে এদিন গ্রেফতার করা হলো মালদার এক ভুয়ো শিক্ষককে। ধৃতের নাম মহম্মদ মহসিন। ২০১৭ সালে কুমেদপুর বেতাহার হাইস্কুলে শিক্ষক পদে যোগ দেন তিনি। সাত মাস সেখানে চাকরিও করেন। ওই বছর নথি পরীক্ষার সময় জানা যায় ভুয়ো নিয়োগপত্রে চাকরি করছেন তিনি! তারপরই সংসদ তাঁর বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়।
চাকরির খবরঃ পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ দপ্তরে নিয়োগ
এরপর ২০১৯ সালে বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়, তাঁর নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এরপরই আদালত ধৃত মহম্মদ মহসিনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়।
চাকরির খবরঃ ব্লক প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর পদে কর্মী নিয়োগ
এ প্রসঙ্গে ধৃতের দাবি, স্থানীয় এক নেতাকে টাকা দিয়ে অবৈধ নিয়োগপত্র সংগ্রহ করেন তিনি। এদিন আদালতের নির্দেশে বাড়ি থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, চাকুরিরত অবস্থায় এক মাসের বেতন পেয়েছিলেন মহসিন। আদালতের নির্দেশে অবিলম্বে তাঁকে ওই বেতন ফেরত দিতে হবে।