২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের পূর্ণ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে ২০১৪ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় উর্দু ভাষার প্রশ্নপত্রে পাঁচটি ভুল প্রশ্ন রয়েছে এহেন অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কিছু জন পরীক্ষার্থী। এরপর ভুলের কথা স্বীকার করে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE)। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।
প্রাইমারি টেটের ভুল প্রশ্নের অভিযোগে এর আগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের দিকটি বিবেচনা করে নির্দেশ দেয় আদালত। ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটের উর্দু ভাষার প্রশ্নপত্রে পাঁচটি ভুল প্রশ্ন রয়েছে এহেন অভিযোগ তোলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও সেই ভুল স্বীকার করে নেয়। সম্প্রতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, পরীক্ষার্থীরা পর্ষদের ভুল প্রশ্নের জন্য বিগত চার বছর ধরে ভুগছেন, তবে আর নয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের পুরো নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।
চাকরির খবরঃ স্বাস্থ্য দপ্তরে মাধ্যমিক পাশে কর্মী নিয়োগ
একইসাথে বিচারপতি বলেন, ভুল প্রশ্নের পূর্ণমান দেওয়ার পর কোন প্রার্থী, কত করে বাড়তি নম্বর পেলেন তার রিপোর্ট আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সঙ্গে বাড়তি নম্বর পাওয়া যে সকল প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার উপযুক্ত হবেন, তাঁদের চাকরির ব্যবস্থাও আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে পর্ষদকে। জানা যাচ্ছে, এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।