শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সরগরম রাজ্য। বিগত মাসগুলিতে সামনে আসে একের পর এক দুর্নীতির হিসেব। এই ব্যাপক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস দেখে রীতিমতো তাজ্জব রাজ্যবাসী। দুর্নীতির শেষ কোথায়, তা এখনও অজানা। গ্রেফতার হয়েছেন হেভিওয়েট নেতা থেকে মধ্যস্থতাকারীরা। চাকরি বাতিল হয়েছে বহু প্রার্থীর। এখনও আদালতে বিচারাধীন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। এদিন একটি মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, ঘুষের বিনিময়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা দ্রুত জমা করতে হবে আদালতে।
বিচারপতি অমৃতা সিংহ দুই তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ও ইডিকে এহেন নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৯ অগাস্টের মধ্যে এই তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া প্রায় ৪৩ হাজার শিক্ষকদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন। এর আগে বহু অবৈধ প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি প্রায় ৩২ হাজার অবৈধ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকের নিয়োগে আবেদন নেবে পর্ষদ
৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ সংক্রান্ত মামলাটির এজলাস বদল হয়। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অমৃতা সিংহর বেঞ্চে। সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচারপতি সিংহ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বজায় রাখেন। পরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় চাকরি বাতিলের শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা করতে হবে পর্ষদকে। তবে এই মামলাটি সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে গেলে সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়। এদিকে, আজ নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কিত একটি মামলায় বিচারপতি সিংহের নির্দেশকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।