২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সে বছর প্রাথমিকে নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রায় ৪২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষক। অভিযোগ, সেবারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক বেনিয়ম হয়েছিল। এই নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা। বিষয়টি নিয়ে মামলা চলে। সেই মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন।
পাশাপাশি, এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, তালিকায় নাম থাকা প্রার্থীরা আগামী চার মাস প্যারাটিচারের বেতন নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া চাকরি যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। এর সঙ্গে বিচারপতির নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে তৈরি হওয়া শূন্যপদের নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী নিয়োগ
আদালতে প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ আরো বেশ কিছু জন অপ্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থীর দাবি ছিল, তাঁদের চেয়ে কম নম্বর পেয়েও মেধাতালিকায় ঠাঁই হয়েছে বেশ কিছু প্রার্থীর। মামলা এগোতে শুক্রবার বিচারপতি নির্দেশ দিলেন, ৬,২৫০ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি থাকবে। বাকি ৩৬ হাজার জনের নয়। তবে, দুটি শর্তেই চাকরি বাঁচবে তাঁদের। এক, তাঁদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকতে হবে। আর দুই, তাঁদের ইন্টারভিউতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে।