এসএসসি গ্রুপ- ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় অনিয়ম, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় -এর সিঙ্গল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এদিন শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের তরফে ৫০০ জনের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয় আদালতে। এদের ২৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগের অভিযোগ তোলা হয়। ২০১৯ সালে প্যানেল প্রকাশের মাধ্যমে গ্রূপ- ডি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করে কমিশন। তারপর প্যানেল মেয়াদ শেষ হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। প্যানেল মেয়াদ শেষ হবার পরও একাধিক অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীদের। এর জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা।
এদিন সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় -এর সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে তিরস্কার করেন। তিনি জানতে চান কার সুপারিশে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে? কীভাবে দু’বছর ধরে অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করছেন? তারপর বিচারপতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রাজ্যের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এডভোকেট জেনারেল বিচারপতি কে অনুরোধ করেন যেন এই মামলায় সিবিআই তদন্ত না দেওয়া হয়। মামলার তদন্ত ভার রাজ্য পুলিশের উপর দেওয়ার জন্য বিচারপতিকে অনুরোধও করেন তিনি। এডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, ‘যেকোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করালেও অসুবিধা নেই’। তার উত্তরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের পুলিশকে তার বিন্দুমাত্র অসম্মান করার উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু এই বিষয়ে সঙ্গে রাজ্যের দুটি সংস্থা জড়িত তাই এর সঠিক তদন্তের জন্য সিবিআই দরকার।
বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে: ক্লিক করুন
এক্ষেত্রে সিবিআই -এর ‘ডিআইজি’ পদমর্যাদার কোনো অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করাবার জন্য চিঠির মাধ্যমে সিবিআই -এর ‘ডিজি’কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্যদিকে আবার হাইকোর্টের এই সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।