শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী বিষয়ে পাঠগ্রহণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করলো সিবিএসই বোর্ড। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সার্কুলার জারি করা হয়েছে বোর্ডের তরফে। সেখানে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য একাধিক নিয়োগমুখী শিক্ষা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য আরও কিছু নিয়োগমুখী পাঠ্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবগুলি মেনে এর আগেই কার্যক্রম চালু করেছিল সিবিএসই বোর্ড। আগামী দিনে পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার দক্ষতা যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকে খেয়াল রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
সিবিএসই-এর নতুন সার্কুলার অনুসারে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের স্বার্থে মোট তেত্রিশটি পাঠ্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পাঠ্যক্রমের ৭০ শতাংশ হাতেকলমে আর বাকি ৩০ শতাংশ থিওরি মাধ্যমে পাঠ দেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের। এক বা একাধিক নিয়োগমুখী পাঠ্যক্রমের বিষয় নির্বাচন করবেন পড়ুয়ারাই। অনলাইন মাধ্যমেও ক্লাস করতে পারবেন তাঁরা। সপ্তাহে ১২-১৫ ঘন্টা বরাদ্দ থাকবে ক্লাস নেওয়ার জন্য। বিষয়গুলির পাঠগ্রহণের পর প্রজেক্ট ভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেদের যাচাই করার সুযোগ পাবেন পড়ুয়ারা। পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব থাকবে স্কুলগুলির ওপর। বর্তমানে সিবিএসই বোর্ডের অন্তর্গত স্কুলগুলিতে প্রায় দুই লক্ষের বেশি পড়ুয়া কর্মমুখী বিষয়গুলি নিয়ে পাঠগ্রহণ করছেন। সিবিএসই এর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা এ বিষয়ে জানার জন্য বোর্ডের ওয়েবসাইটে নিয়োগমুখী শিক্ষার পেজে নজর রাখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ NEET PG 2023 পরীক্ষার দিন ঘোষণা
সার্কুলার অনুসারে, নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা মোট বাইশটি কর্মমুখী বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়ারা তাঁদের তিনটি আবশ্যিক বিষয়ের সাথে একটি নিয়োগমুখী বিষয় নিয়ে পড়তে পারেন। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা মোট ৪৩টি কর্মমুখী বিষয়ের মধ্যে নির্বাচন করে পাঠগ্রহণের সুযোগ পাবেন। বোর্ড জানিয়েছে, স্কুলে কর্মমুখী বিষয়গুলির পাঠ্যক্রম সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনোও অর্থ দিতে হবে না। তবে একটি ‘অনলাইন অ্যাফিলিয়েটেড স্কুল ইনফরমেশন সিস্টেম’ ফর্ম ফিল আপ করতে হবে। সিবিএসই বোর্ডের এহেন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। মনে করা হচ্ছে এতে পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমনই নিজস্ব পাঠ্যক্রমের সাথে কর্মমুখী বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ চাকরির জগতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে।