বর্তমান সময়ে কর্মসংস্থানের সমস্যা সারা দেশব্যাপী একটি বৃহত্তর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ব্যাপক পরিমাণ পদ খালি থাকার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক তৈরি হয়। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের শূন্যপদগুলি পূরণের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করতে দেখা গেছে চাকরিপ্রার্থীদের। সেই আবহেই এবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের ঘোষণা করা হলো। সরকারি অথবা বেসরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পেশাগত বিভিন্ন চাহিদা এবং অর্থের জন্য স্থানীয় শহর ছেড়ে বহু চাকরিপ্রার্থী অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। সেই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির ব্যবস্থা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সর্বশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ১০ টি রাজ্যে ১২ টি নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্মার্ট সিটি তৈরি করার। এদিন বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রসারণ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানার জহিরাবাদ, কেরালার পলক্বড়, উত্তরাখণ্ডের খুরপিয়া, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা এবং প্রয়াগরাজ, মহারাষ্ট্রের দিঘী, পাঞ্জাবে রাজপুর পাটিয়ালা, বিহারের গয়া, রাজস্থানের যোধপুর পালি, মধ্যপ্রদেশের ওরবাকল, কোপ্পার্থীতে এই স্মার্ট সিটিগুলি তৈরি করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে আনুমানিক ২৮, ৬০২ কোটি টাকা। সরকারের তরফে দাবী করা হয়েছে এই প্রজেক্টের ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ৪০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে নতুন কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও দাবি করেছেন, আন্তর্জাতিক মানের এই সমস্ত স্মার্ট সিটিগুলি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা হবে। এতে সমগ্র দেশের শিল্প ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিরাট উন্নতি ঘটবে। পরিকাঠামগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের দিক থেকেও বিরাট পরিবর্তন দেখা দেবে। এই প্রজেক্টের কারণে মূলত কন্সট্রাকশন সম্পর্কিত কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে আগামী ৮ বছরের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ তৈরীর প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক বরাদ্দ করা হয়েছে ৪,১৩৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এই সমস্ত প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য যে বিপুল পরিমাণ ম্যানপাওয়ার প্রয়োজন তার মাধ্যমেই তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান।