পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টানাপোড়ে চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ। দীর্ঘ সময় ধরে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার মামলা হাইকোর্টে চলার পরে বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলাটি স্থগিত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা পড়ে থাকার কারণে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি বহু সংখ্যক সরকারি কর্মী তাদের প্রাপ্য মহার্ঘভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার পরিমানের নিরিখে কেন্দ্রীয় সরকারের তুলনায় অনেক কম পরিমাণ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করে রাজ্য সরকার। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার বিতর্ক উঠে আসে।
এত সবকিছুর মাঝে এবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন একটি আপডেট উঠে এল। সম্প্রতি লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন দুই সংসদের প্রশ্নের ভিত্তিতে এই আপডেট উঠে এল। কোভিড মহামারী চলাকালীন সময়ে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে কেন্দ্রীয় সরকার ১৮ মাসের মহার্ঘ ভাতা এবং পেনশন ভোগীদের পেনশন বন্ধ রেখেছিল। উক্ত সময়ে বন্ধ রাখা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সক্রিয়ভাবে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন লোকসভার সাংসদরা। বিশিষ্ট দুই সংসদের প্রশ্নের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী পংকজ চৌধুরী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের স্কুলে মিড-ডে-মিল প্রকল্পে কর্মী নিয়োগ
প্রসঙ্গত, আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির সঙ্গে মোট ৫৩ শতাংশ হারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দেওয়ার পর পরবর্তী ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যাবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজ্য সরকারী কর্মীরা তীব্র আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মীদের এক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরালে কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করলেও রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বিষয়টি যথেষ্ট হতাশা জনক। তবে যেহেতু এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতার মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আছে, তাই এই বিষয়েই সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।