এক নজরে
চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস: মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে ভারতের চন্দ্র অভিযান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। চন্দ্র অভিযানের মাধ্যমে ভারত বিশ্বস্তরে এক প্রভাবশালী জায়গায় নিজেকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস -এ এই মুহূর্তে মোট তিনটি চন্দ্রযান প্রেরণ করা হয়েছে। তবে চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি অনেকেরই অজানা রয়েছে। এই প্রতিবেদনে ভারতের চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল।
চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস
ভারতের চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস -এ তিনটি চন্দ্র অভিযান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই তিনটি চন্দ্র অভিযান হল চন্দ্রযান ১, চন্দ্রযান ২ এবং চন্দ্রযান ৩। এই মুহূর্তে চন্দ্রযান ৩ প্রেরণ করা হল, এর আগে ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ এবং ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ প্রেরণ করা হয়েছিল।
চন্দ্রযান ১ (ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান)
চন্দ্রযান ১ এর মধ্য দিয়েই ভারতের প্রথম চাঁদে পদার্পণ। এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ মিশন শুরু হয়েছিল এবং চলেছিল ২০০৯ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত, পরে মহাকাশযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে PSLV C11 রকেটের মাধ্যমে চন্দ্রযান ১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল চাঁদের রাসায়নিক ও খনিজ উপাদান সম্পর্কে জানা।
চন্দ্রযান ১ এর মাধ্যমে এমআইপি নামের একটি প্রযুক্তিকে চাঁদের মাটিতে পৌঁছানো হয়। প্রযুক্তিটির ওজন ছিল ৩৪ কেজি। এই প্রযুক্তির উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের যাবতীয় তথ্য ইসরো কে পাঠানো। চন্দ্রযান ১ এমআইপি সহ আরো ১১ টি আধুনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করেছিল। চন্দ্রযান ১ তার মিশনে অনেকটাই সাফল্য লাভ করেছিল এবং চাঁদে প্রথম জলের অস্তিত্ব প্রমাণ করেছিল।
আরও পড়ুনঃ গগনযান মিশন
চন্দ্রযান ২ (ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র অভিযান)
২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ মিশনটি ছিল অত্যন্ত জটিলতাপূর্ণ। কারণ চন্দ্রযান ২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে, যে অংশটি আমাদের দৃষ্টির বাইরে থাকে। প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি চন্দ্রযান ২ তিনটি অংশে বিভক্ত- একটি অর্বিটার, একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার। ল্যান্ডারটির নাম ছিল ‘বিক্রম’ এবং রোভারের নাম ছিল ‘প্রজ্ঞান’। চন্দ্রযান ২ মিশনের উদ্দেশ্য হল চাঁদের মানচিত্র তৈরি এছাড়া ধুলো, বাষ্প ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করা।
প্রায় 14 থেকে 15 দিন কার্যকরী থাকার কথা ছিল বিক্রম ও প্রজ্ঞানের। কিন্তু সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের সময় চাঁদে আছড়ে পড়ে এবং রোভারটি নষ্ট হয়। দুর্ঘটনাটি ঘটে 2019 সালের 7 সেপ্টেম্বর।
চন্দ্রযান ৩ (ভারতের তৃতীয় চন্দ্র অভিযান)
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এদিন 14 জুলাই, শুক্রবার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে লঞ্চ ভেইকেল মার্ক ৩ (LVM 3) রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ কার্যকারী করা হয়েছে। চাঁদে নতুন রোভার পাঠানোর উদ্দেশ্যেই চন্দ্রযান ৩ মিশনটি শুরু হয়েছে। রোভারের কাজ হল চাঁদের উপর ভ্রমণ করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা এবং সেই তথ্যগুলি ইসরোকে পাঠানো।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রযান ৩ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি দেখে নিন