পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা ডিএ-এর দাবিতে সরব হয়েছেন। একজোট হওয়া সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, বকেয়া ডিএ প্রদান ও ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার শিকার। তাঁদের ন্যায্য দাবি পূরণে ব্যর্থ মমতা সরকার। একদিকে যেমন মহার্ঘ ভাতার দাবিতে উত্তপ্ত বঙ্গে আন্দোলন, বিক্ষোভ নিত্য ঘটনা,তেমনই অন্যদিকে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতার বক্তব্যে ফের ঝড় উঠল রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ্যে দাবি তুলেছেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সকল সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দেবেন।’
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মী ফেডারেশন। এই সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সরকারি কর্মীরা। তাঁদের আশা ছিল, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই ডিএ প্রসঙ্গে কোনোও বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু বাস্তবে এ প্রসঙ্গে কোনোও সদুত্তর না মেলায় ফের অসন্তোষ কর্মী মহলে। এরপরই সংশ্লিষ্ট প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ফেডারেশনের নেতা প্রতাপ নায়েক। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোনোদিন বলেননি ডিএ দেবেন না। তিনি কর্মীদের ডিএ দেবেন। এমনিতেই তিনি সরকারি কর্মীদের পক্ষে একাধিক কাজ করেছেন। কর্মীদের ডিএ দেওয়ার ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা
এরপর কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন ফেডারেশন নেতা। তাঁর কথায়, এখনও রাজ্যের পাওনা ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কারণেই ডিএ দিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশা, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই এ সমস্যা মেটাতে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন। আর কেন্দ্রের থেকে টাকা মিললেই ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। যদিও, ফেডারেশন নেতার কথায় বিন্দুমাত্র সন্তুষ্ট নন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, আর কতদিন মৌখিক আশ্বাস দেবেন মুখ্যমন্ত্রী? আদৌ কি মিলবে ডিএ! প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই একমাত্র পথ। তাই শীর্ষ আদালতের ডিএ মামলার শুনানির দিকেই চেয়ে রাজ্য সরকারি কর্মী মহল।