চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়া মিটলেই স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। জুন মাসের শেষে অথবা জুলাই মাস থেকে পঠন-পাঠন শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এদিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নতুন এই ক্লাস্টার পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের শিক্ষানীতিতে। বিশেষত বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলির পঠন-পাঠনের জন্য শিক্ষকের অভাব রয়েছে স্কুলগুলিতে। সেক্ষেত্রে যাতে কলেজের শিক্ষকরা স্কুলে এসে পড়াতে পারেন সেই জন্যই নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আশেপাশের স্কুলের শিক্ষকরা কুলে এসে পঠন-পাঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করলে সেটাকে হরাইজন্টাল পদ্ধতি বলে গণ্য করা হতো। কলেজের শিক্ষকরা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে এসে শিক্ষাদান করলে সেটিকে ভার্টিক্যাল পদ্ধতি নামে অভিহিত করা হবে। প্রয়োজনে আশেপাশের বেশ কয়েকটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একটি বড় বিদ্যালয়ে একসঙ্গে ক্লাস করতে পারবে। এর ফলে একদিকে যেমন স্কুলগুলিতে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব মিটবে অন্যদিকে স্কুলগুলির চাহিদা অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত বিষয়ে পঠন-পাঠন চালু করা সম্ভব হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পদ্ধতি চালু করতে চাই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এর ফলে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পঠন-পাঠনের গুরুত্ব ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝানো সম্ভব হবে।
চাকরির খবরঃ কেন্দ্রীয় নির্মাণ কারখানায় কর্মী নিয়োগ
এই প্রসঙ্গে কলিজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার এন্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেস সংস্থার সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, নিঃসন্দেহে শিক্ষা সংসদের এটি একটি ভালো উদ্যোগ কিন্তু পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে সহায়তা পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। অন্যদিকে কলেজের শিক্ষকরা কলেজে নিজেদের দায়িত্ব সামলে স্কুল শিক্ষায় কতটা অংশগ্রহণ করতে পারবেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকের ঘাটতি এতটাই বেশি যে, বহু স্কুল গুলিকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের ওপর ভরসা করে ক্লাস করাতে হয়। সবমিলিয়ে একদিকে যেমন দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত আছে, পাশাপাশি সম্প্রতি ২৫ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ায় এই সমস্যা আরও দ্বিগুণ হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একটি বিষয় পড়ানোর জন্য একজন বা দুজন করে শিক্ষক থাকেন। একজন শিক্ষকের বিষয় অন্যজন শিক্ষক পড়াতে সক্ষম নন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই কত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে পারে শিক্ষা সংসদ সেদিকেই তাকিয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রীসহ তাদের অভিভাবকরা।