ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে স্কুল ও কলেজ খুলবে। প্রায় ২ বছর পর স্কুল খোলার ঘোষণায় খুশি পড়ুয়ারা। তবে খুশির মাঝেও চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। কারন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশে স্কুল খুলেছে। পঠন পাঠনও শুরু হয়েছে জোরকদমে। তবে স্কুল খোলার পরেই ওই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। স্কুল খোলার এক মাসের মধ্যেই প্রায় ৫৫৬ জন পড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সুস্থ হয়ে উঠেছে ৩০৫ জন পড়ুয়া। এমনকি হিমাচল প্রদেশের অন্তর্গত হরিমপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক ১৩ বছরের ছাত্রী। এই মুহূর্তে অভিভাবকদের চিন্তা এ রাজ্যেও কি স্কুল খোলার পর করোনা বাড়তে পারে? যদিও এই ভাবনা ভুল কিছু নয়। কারণ পুজো শেষ হতেই পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে চালানো হবে স্কুলের পঠন পাঠন। অন্যদিকে রাজ্যের স্কুলগুলির ভেঙে পড়া পরিকাঠামো গুছিয়ে তুলতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে ১০৯ কোটিরও বেশি অর্থ। পাশাপাশি রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতায় জারি করেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। যেমন- ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই মাস্ক পরে স্কুলে প্রবেশ করতে হবে, সর্বদাই পকেট স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, স্কুলের চারিদিক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ইত্যাদি। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্কুল খোলার সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল খোলার পরে যদি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় তার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা প্রস্তুত তা সময় বলবে। কিন্তু স্কুল খোলার ঘোষণায় অভিভাবকরা যেমন খুশিও রয়েছেন সঙ্গে চিন্তাও রয়েছেন তাঁরা।