স্কুল সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পর এবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এলো। শান্তনু বসু নামে এক প্রার্থী লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দুর্নীতির নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ, ওই পদে যোগ্য হওয়ার সত্ত্বেও তার থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য তলব করেছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
২০১৯ সালে রাজ্যে সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজগুলিতে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কমিশন। সেই অনুযায়ী ইন্টারভিউর পর সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হওয়ার কথা। বিজ্ঞপ্তি সব শর্ত পূরণ না করেই ওই পদের নিয়োগ পেয়েছেন বহু প্রার্থী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক স্তরে শান্তনুর থেকে কম নাম্বার পাওয়ার সত্বেও অনেকেই নিয়োগ দিয়েছে কমিশন। তিনি এমনই ১০ জন প্রার্থীর কথা জানিয়েছেন যারা কম নম্বর পাওয়া সত্ত্বেও নিযুক্ত হয়েছে লাইব্রেরিয়ান পদে।
চাকরির খবরঃ জাহাজ নির্মাণ কারখানায় নিয়োগ অষ্টম শ্রেণী পাশে আবেদন
তবে নিয়োগে কোনো কারচুপি হয়নি এমনটাই দাবি করছে কমিশন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, যেহেতু সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজে নিয়োগে দুর্নীতির প্রশ্ন উঠে এসেছে, তাই তার ত্রুটি মুক্ত হওয়া যুক্তিযুক্ত। তবে ইন্টারভিউ কখন কোথায় হয়েছিল? কিভাবে মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছিল সমস্ত সঠিক তথ্য কমিশনকে জানাতে হবে। এছাড়াও মামলাকারী এবং সফল কর্মীদের ইন্টারভিউ সহ বিভিন্ন স্তরে পাওয়া নাম্বারে ব্রেকআপ রিপোর্ট আকারে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলেছে আদালত। ২১ তারিখ ফের শুনানি।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে শিশু সুরক্ষা দপ্তরে কর্মী নিয়োগ