ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় মিলেছে দুর্নীতির হদিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এদিন সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয়। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এরপর আর কোনও আবেদনপত্র গ্রহণ করতে পারবে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতির ছায়া এই প্রথম নয়। অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ভর্তি নেওয়া থেকে বেআইনি পথে চাকরি বিক্রি! তদন্ত প্রক্রিয়ায় মিলেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেওয়ার কোর্স হলো এই ডি.এড.এড। প্রতি বছর এই কোর্সে অন্তর্ভুক্ত হন বহু প্রার্থী। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ডি.এল.এড কলেজের সংখ্যা প্রায় ৬০০টির কাছাকাছি। এই ডি.এল.এড কোর্সের সময়সীমা প্রায় দুই বছর। যার মধ্যে নেওয়া হয় চারটি সেমিস্টার পরীক্ষা। সম্প্রতি ২৮শে ডিসেম্বর এই ডি.এল এড কোর্সের ২০২১-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইচ্ছুক প্রার্থীদের আবেদনের সময়সীমা দেওয়া হয় ২ জানুয়ারি থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে। আবেদন ফি রাখা হয় ৩০০০ টাকা।
চাকরির খবরঃ রাজ্যে দিল্লি পাবলিক স্কুলে নিয়োগ
এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তির একাংশকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা করা হয় আদালতে। প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের হয়েছিল মামলা। এরপর আদালতের তরফে ডি.এল.এড কোর্সের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডি.এল.এড কোর্সে আবেদনের জন্য সাধারণ প্রার্থীদের ফি থাকে ৩০০/- টাকা। আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফি থাকে ১৫০/- টাকা। তবে এবার আবেদনের ফি এত কেন? প্রশ্ন উঠছে এই বিষয়টি নিয়েও। এছাড়া ডি.এল.এড কোর্সটি সম্পূর্ণ করার জন্য প্রতিবছর কর্মদিবস লাগে ২০০টি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৫ই জানুয়ারি।