রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক ট্রেনিং কোর্স বা ডি.এল.এড কোর্সে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। এর আগে বেসরকারি ডি.এল.এড কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রকাশ পেয়েছিল। আর এবার তাপস মন্ডল ও কুন্তল ঘোষকে জেরা করে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো।
সূত্রের খবর, বহু বেসরকারি ডি.এল.এড কলেজে একদিনও ক্লাস না করে বেআইনিভাবে ডিগ্রি লাভ করেছেন পড়ুয়ারা। ভর্তির কিছুদিনের মধ্যেই ডি.এল.এড সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এদিকে রেজিস্ট্রেশনে তা দেখানো হয়েছে দুই বছর আগের। আর এভাবেই কারচুপির মাধ্যমে পঠনপাঠন ছাড়াই ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। সম্প্রতি এহেন গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে। সিবিআইয়ের সন্দেহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বড়ো অঙ্কের টাকার লেনদেন।
চাকরির খবরঃ রাজ্যের জেলা পরিষদে কর্মী নিয়োগ
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে জানা যাচ্ছে প্রায় ৬০০টি ডি.এল.এড কলেজে প্রার্থী ভর্তিতে কারচুপি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘুরপথে অফলাইনে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। আর অফলাইনে ভর্তি নেওয়া প্রত্যেক পড়ুয়া পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বোঝা যাচ্ছে, এখানেও জড়িয়ে বিরাট অঙ্কের টাকার লেনদেন। এদিকে ডি.এল.এড কলেজগুলির বাস্তব অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দিহান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মতো শিক্ষক হওয়ার ট্রেনিংয়েও দুর্নীতি! সামনেই ডি.এল.এড এর পরীক্ষা। এদিকে অফলাইনে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন নিতে নারাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।