বিগত বছরগুলিতে রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকারা বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলে বদলি হয়েছেন। এই সংক্রান্ত তথ্যগুলি এবার চেয়ে পাঠালো স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সূত্রের খবর, শিক্ষকদের এই বদলির তথ্য নিয়ে অডিটের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের সমস্ত তথ্য নেওয়া হচ্ছে স্কুল থেকে।
প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্টস জেনারেলের অফিস থেকে এই সকল তথ্য চাওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই নির্দেশ গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছেও। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই নির্দেশ পৌছে দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। রাজ্যের জেলাগুলির জেলাশাসকেরা নির্দিষ্ট বয়ানে তথ্য প্রদানের এই নির্দেশ দিয়েছে স্কুলগুলিকে।
আরও পড়ুনঃ পুরনো সিলেবাস সংস্কারের পথে রাজ্য সরকার
রাজ্যের স্কুলগুলি থেকে কতজন শিক্ষক, কবে, কোথায় বদলি হয়েছেন, সেই সকল তথ্য যেমন নেওয়া হবে তেমনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কত ছিল, এছাড়া কোন নিয়মের ভিত্তিতে শিক্ষকদের বদলি করা হয়েছে সকল তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এর দরুণ শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত চিত্র স্পষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্কুলগুলির শূন্যপদের সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা লাভ সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি অপেক্ষাকৃত অনেক সহজ হয়েছে। ফলত দেখা যাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলি ছেড়ে কলকাতার কাছাকাছি বদলি নিয়ে চলে আসছেন শিক্ষক, শিক্ষিকারা। যার দরুণ গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলেই শিক্ষক অভাব পরিলিক্ষত হয়েছে। এর আগে আদালত জানায়, এবার থেকে শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা দফতর। আর এবার নির্দিষ্ট সময়কালে শিক্ষক বদলির সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হলো।