শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকতো এজেন্টদের। বিভিন্ন জায়গা থেকে জোগাড় করা অযোগ্য প্রার্থীদের নাম জমা দিতেন তাঁরা। তারপর সুপারিশের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় জায়গা পেতেন এই অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা। তবে, শুধু কী নাম জমা দিয়েই খুশি থাকতেন তাঁরা? এজেন্টরাও পেয়েছেন চাকরি, এবার সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, অযোগ্য প্রার্থীদের নাম জমা দেওয়া এই এজেন্টরা নিজেরাও চাকরি পেয়েছেন শিক্ষক, অশিক্ষক পদে।
সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে এজেন্ট হিসেবে কাজ করা ব্যক্তিদের জন্য একটি শর্ত ধার্য ছিল। যে এজেন্ট বেশি প্রার্থী দিতে পারবেন, তাঁকে বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যকে শিক্ষক বা অশিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হবে। আর এর জন্য কোনো টাকা দিতে হবে না তাঁদের। এই নিয়ম চালু করেছিলেন জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে এই তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এ বিষয়ে এজেন্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। এজেন্টদের দাবি, অনেকেরই এভাবে চাকরি হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরে।
আরও পড়ুনঃ বন সহায়ক পদে নতুন করে হবে নিয়োগ
ঠিক কিভাবে চাকরি পেতেন এই এজেন্টরা? সূত্রের খবর, বেশি প্রার্থী জোগাড় করে দেওয়া এজেন্টদের বলা হতো, নিয়ম মাফিক পরীক্ষায় বসতে হবে তাঁদের। সেই পরীক্ষায় শূন্য পেলেও চাকরি মিলবে অনায়াসেই। এছাড়া যদি কোনো এজেন্ট চাকরি নিতে রাজি না হন তাহলে তাঁর পরিবারের অন্য কোনো সদস্য এই চাকরি পেতেন। এহেন শর্ত বাঁধা ছিল এজেন্টদের মধ্যে। মুলত প্রতিযোগিতা বাড়াতেই এই ফন্দি এঁটেছিলেন পার্থ বাবু।
কে কতটা শিক্ষিত, তার উপর নির্ধারিত হত কোন পদে নিয়োগ মিলবে তাঁদের। যেমন, কম শিক্ষিত এজেন্টরা পেতেন গ্রুপ ডি বা অশিক্ষক পদে চাকরি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির তদন্ত চালাতে বহু এজেন্টদের নাম পেয়েছে ইডি। ইতিমধ্যে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রক্রিয়ায় কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে ইডি। শীঘ্রই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।