শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সারা রাজ্য তোলপাড়। তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। ইডির হেফাজতে দফায় দফায় জেরা চলছে তাঁর।এই জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। এদিন নগর দায়রা আদালতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এর তরফে দাবি করা হয়েছে, পরীক্ষার ওএমআর শিটে ব্যবহার করা হতো ‘সাংকেতিক প্রশ্ন’।
নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে সামনে আসছে অকল্পনীয় সব তথ্য! এর আগে ওএমআর শিট বিকৃতির অভিযোগ সামনে আসে। আর এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আগের থেকে টাকা দিয়ে রাখা প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ওএমআর শিট (উত্তরপত্রে) ব্যবহার করা হতো গোপন সংকেত! যাতে টাকা দেওয়া প্রার্থীদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের আগের থেকেই জানানো থাকতো ঠিক কোন দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বাকি প্রশ্নের উত্তর দিতে নিষেধ করা হতো তাঁদের। এই গোটা ঘটনাটি চলতো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের নজরদারিতে। সাথে থাকতেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ছিলেন বহু এজেন্টরাও। প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে মানিক ভট্টাচার্য ও কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে গুরুতর ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে ইডি।
চাকরির খবরঃ কলকাতা মেট্রোরেলে কর্মী নিয়োগ
এদিন ইডির দাবি, ২০১২ ও ২০১৪ সালে এভাবেই জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বহু অযোগ্য প্রার্থীদের। সূত্রের খবর, ঘটনা প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবীর বক্তব্য, একটা সময় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গে পড়াশোনা করতে আসতেন পড়ুয়ারা। আর এখন অযোগ্যদের হাতে শিক্ষা ব্যবস্থার ভার থাকায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হতে বসেছে। যার ফলে অন্যত্র পড়তে যেতে হচ্ছে বাংলার পড়ুয়াদের।