ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরি না মেলায় পেটের দায়ে চায়ের দোকান খুলল দুই ভাই সুমন কর ও সমিত কর। ঘটনা এরাজ্যের শিল্প শহর দুর্গাপুরের। দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ডিপ্লোমা, তবুও মেলেনি চাকরি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শহরের ডিভিসি মোড়ের কাছে দু’ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে চায়ের দোকান খুলল দুই ভাই। দুই ভাই -এর দাবি, চাকরি না মেলায় চায়ের দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছেন তারা। তবে এখন চায়ের দোকান মন দিয়ে করছেন।
দাদা সুমন কর জানায়, ‘অনেকেই বলেছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চা ব্যবসা! কিন্তু আমরা চা ব্যবসাটাই মন দিয়ে করছি।’ বাবা পেশায় ফুল ব্যবসায়ী অনেক কষ্টে দুই ভাইকে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও চাকরি না পাওয়ায় হতাশ পরিবার ও দুই ছেলে। পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে বড় ছেলে সুমন -এর অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ হয়। কলেজ ক্যাম্পাসিং -এ ভিনরাজ্যে একটি চাকরি পায় সে। কিন্তু করোনা কালে বাড়ির আর্জিতে চাকরি ছেড়ে ঘরে ফিরে আসে। পরে কাঁকসা বাঁশকোপা তে একটি অটোমোবাইল শোরুমে কাজে যোগ দিলেও সেখানে নাম মাত্র বেতনে সংসার চালানো দুষ্কর হচ্ছিল বলে সেই চাকরিটিও ছাড়তে বাধ্য হয় সুমন।
আরও পড়ুনঃ
বর্তমানে কি কি চাকরির ফর্ম ফিলাপ চলছে
অন্যদিকে ছোট ভাই সমিত জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও কোনো চাকরি এখনও পর্যন্ত জুটিয়ে উঠতে পারেনি সে। তাই দুই ভাই নিজেদের সংসারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই উদ্যোগ নিয়েছে। মা সরস্বতী কর বলেন, ‘কাজ না পেয়ে চায়ের দোকান খুলতে হয়েছে ছেলেদের। ওদের ভালো হোক।’ তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেমে থাকেনি। শাসক- বিরোধী দলই তাদের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা কে তুলে ধরেছেন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে।