অবশেষে খোঁজ মিললো ২০১৪ টেটের নম্বর তালিকায় থাকা মমতা ব্যানার্জি, দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, অমিত শাহ, কুনাল ঘোষ, পার্থ চ্যাটার্জিদের। সম্প্রতি টেটের নম্বর তালিকায় থাকা এই প্রার্থীদের নামের সাথেই কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় রাজ্য ও দেশের প্রথম সারির রাজনীতিকদের নাম। তারপরেই শুরু হয় জল্পনা। তবে এদিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হলো উক্ত নামের প্রার্থীদের সত্যিই অস্তিত্ব ছিল ২০১৪ র টেট পরীক্ষায়।
সম্প্রতি দীর্ঘ টালবাহানার পর বিচারপতির নির্দেশে প্রকাশ পেয়েছে ২০১৭ সালের টেট প্রার্থীদের নম্বর। তারপরেই সামনে আসে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বর তালিকা। তবে প্রকাশ পেতেই এই তালিকা নিয়ে শুরু হয় গোলমাল। প্রথমেই নজরে আসে অধিকাংশ নামহীন প্রার্থীর নম্বর। সংরক্ষিত প্রার্থীদের নম্বর তালিকায় তো নামই নেই কারোর! তালিকা ঘিরে বিভিন্ন মহলের মন্তব্যের মাঝেই আরও একটি বিষয় নজরবন্দি হয় রাজ্যবাসীর। একই টেটের নম্বর তালিকায় থাকা প্রার্থীর নামের সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম! শুধু তাই নয় কুনাল ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অমিত শাহ থেকে দিলীপ ঘোষ। সবারই অস্তিত্ব মিলেছে সেখানে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায় সর্বত্র। পর্ষদের তরফে জানানো হয় ঘটনাটি হতে পারে সাইবার হানার ফল। অর্থাৎ নামগুলি বাইরে থেকে আলাদা করে বসানো অথবা ভুয়ো হতে পারে। প্রসঙ্গ ওঠে তালিকার কারচুপিরও। তবে পর্ষদের তরফে আশ্বাস আসে উক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার ।
আরও পড়ুনঃ নিয়ম না মানলে বন্ধ হবে পরীক্ষা
পরবর্তীতে পর্ষদের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে জানানো হয় বিস্তারিত। বলা হয় পরীক্ষার্থীদের নামগুলি ভুয়ো বা নকল নয়। সত্যিই এই নামের পরীক্ষার্থীদের অস্তিত্ব রয়েছে টেট পরীক্ষায়। যাদের নামের সাথে কাকতালীয়ভাবে মিলে গিয়েছে নামজাদা রাজনীতিবিদদের নাম। ঘটনার প্রমাণস্বরূপ পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয় সকল প্রার্থীদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর। পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির সাথে প্রকাশ করা হয় উক্ত প্রার্থীদের নাম, ফোন নম্বর সম্বলিত তালিকা। যেখানে বাস্তবিকই খোঁজ মিলেছে মমতা ব্যানার্জি, পার্থ চ্যাটার্জি, অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষ, কুনাল ঘোষ, সুজন চক্রবর্তীদের নাম। প্রসঙ্গত, তালিকায় রয়েছে ‘গৌতম পাল’ নামেরও তিনজন ব্যক্তি।
প্রাইমারি টেট নিয়ে বিভ্রান্তির শেষ নেই। এখনও অন্ধকারে উত্তীর্ণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের ভবিষ্যত। পর্ষদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছ হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কার্যত এই স্বচ্ছতার হদিশ পেতেই স্বপ্ন বুনছেন চাকরিপ্রার্থীরা।