দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা নেই। আর পরীক্ষা না থাকায় নিয়োগও নেই। আর এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই একজোট হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের। অবিলম্বে শিক্ষক পদে নিয়োগের পরীক্ষার দাবিতে আদালতে মামলা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এবার চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনে অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
চলতি সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা শহিদ মিনারের সামনে আন্দোলন শুরু করবেন। প্রধানত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা এই কর্মসূচির আয়োজন করছেন। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে শেষবার আয়োজিত হয়েছিল ‘স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা SLST’ পরীক্ষা। এমনকি একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর সহ শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাও সে বছর শেষবার আয়োজিত হয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনোও পরীক্ষাই আয়োজন করা হয়নি। এদিকে পরীক্ষার অভাবে নিয়োগ আটকে গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। তারই প্রতিবাদ স্বরূপ বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর এবার মামলার শুনানিতে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
চাকরির খবরঃ কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পরিস্থিতির প্রতিকারে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে একাধিক চিঠি দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে তার পরিপ্রেক্ষিতে কোনোও আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ফলে প্রতিবাদের পথটিই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতির আবহে ঘোর জটিলতায় রাজ্য। চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের তালিকা ক্রমাগতই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথেই চলছে নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, আন্দোলন, প্রতিবাদ কর্মসূচি। কবে এ পরিস্থিতির সুরাহা হবে? কবে যথাযথভাবে নিয়োগ পাবেন যোগ্য প্রার্থীরা? এখন সেই সকল উত্তরের অপেক্ষায় চাকরিপ্রার্থীরা।