নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির হদিশ মেলে। সিবিআই তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হয় চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এ সকল তথ্য হাইকোর্টে প্রকাশ করা হলে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএসসিকে প্রশ্ন করেন, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিচ্ছে কমিশন। সাথে বিচারপতি এসএসসিকে নির্দেশ দেন নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সকল অযোগ্য প্রার্থীদের বরখাস্ত করতে।এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নবম-দশমের ৬১৮ জন প্রার্থীর সুপারিশপত্র বাতিল করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি সহ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।
এর আগেই দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬ সালে এসএসসির নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ তালিকায় নাম ছিল মোট ৯৫২ জন প্রার্থীর। যার মধ্যে অধিকাংশেরই ওএমআর শিটে নম্বর কারচুপির অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, ‘এক’ ‘দুই’ কিংবা ‘শূন্য’ পাওয়া প্রার্থীদের নম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে ‘৫২’ ‘৫৩’ নম্বরে! সংশ্লিষ্ট ঘটনায় দুর্নীতি মেনে নিয়ে এসএসসির তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ তালিকা থেকে প্রায় ৮০০ এর বেশি অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এবং এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হবে।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে কনস্টেবল নিয়োগ
এর আগেই কমিশন জানিয়েছিল, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নোটিশ জারি করে অতি শীঘ্রই চাকরি বাতিল প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই পদক্ষেপ স্বরূপ এবার প্রথম দফায় ৬১৮ জন প্রার্থীর সুপারিশপত্র বাতিল হয়েছে। এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এই সকল প্রার্থীদের চাকরি বাতিল করবে। প্রসঙ্গত, আগামী দিনে আরও প্রার্থীর নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। নির্দিষ্ট আইন মেনেই অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশপত্র বাতিল করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
Name List Download: Click Here