ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (UPSC)-এর পরীক্ষায় বসা সকল পরীক্ষার্থীদের মন ও লক্ষ্য স্থির রাখতে হয়। ধৈর্য, একাগ্রতা ও পরিশ্রম ছাড়া দেশের সর্বাধিক কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন একজনের কাহিনি তুলে ধরবো, যিনি এই তিন সূত্রকে সঙ্গী করেই নিজের স্বপ্নের দৌড়ে বিজয়ী হয়েছেন। একসময়ের ঝুড়ি বিক্রেতা থেকে আজ তিনি দেশের উচ্চপদস্থ অফিসার। তাঁর এই কাহিনী যেন এক রূপকথার মতো। দারিদ্র্যতার বেড়াজাল টপকে কিভাবে লক্ষ্যভেদ করলেন তিনি? আসুন আইএএস অফিসার মহম্মদ শিহাবের সফলতার কাহিনী জেনে নেওয়া যাক।
১৯৮০ সালের ১৫ মার্চ কেরালা রাজ্যের মালাপ্পুরম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ শিহাব। তাঁর বাবা ছিলেন বাঁশের ঝুড়ি বিক্রেতা। একসময় অভাবের তাড়নায় ছোট্ট শিহাব বাবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাঁশের ঝুড়ি বানিয়ে তা বিক্রি করতেন। কিন্তু এ ছিল তাঁর সংগ্রামের প্রারম্ভ। অনেক ছোটবেলায় শিহাবের বাবা মারা যান। এই ঘটনার ফলে তাঁদের পারিবারিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে শিহাবের মা তাঁকে মানুষ হওয়ার জন্য অনাথ আশ্রমে রেখে আসে। তখন থেকে অনাথ আশ্রমের ছত্রছায়ায় বড় হতে থাকেন শিহাব। ছোট থেকে মেধাবি শিহাব অনেক দ্রুততার সঙ্গে পাঠ গ্রহণ করতে থাকেন। অনাথ আশ্রমে থেকেই দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হন শিহাব।স্কুল ও কলেজের পড়াশোনাতেও নজরকাড়া ফলাফল করতে থাকেন তিনি। এরপর একসময় তাঁর মনে হয়, ইউপিএসসির পরীক্ষা দেবেন। আর সে কারণে শুরু হতে থাকে তাঁর পরীক্ষা প্রস্তুতি।
আরও পড়ুনঃ চতুর্থবারে স্বপ্ন-বিজয়ী অফিসার উৎসব গৌতমের সাফল্যের কাহিনী
কঠিন পরিশ্রম, ধৈর্য ও একাগ্রতাকে সঙ্গী করে মহম্মদ শিহাব ইউপিএসসি পরীক্ষায় বাজিমাত করেন। তবে প্রথমবারেই সাফল্য আসেনি। পরপর দুবার অকৃতকার্য হন শিহাব। তৃতীয় বারের চেষ্টায় হয় স্বপ্নপূরণ। অফিসার শিহাব ২০১১ সালে পরীক্ষায় বসেন ও ২২৬ তম স্থান অর্জন করে পরীক্ষায় পাশ করেন। বর্তমানে অফিসার শিহাব নাগাল্যান্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার। ক্রমে তিনি আজ সকল পরীক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন।