ইউপিএসসি তে উত্তীর্ণ হতে গেলে লাগবে লক্ষ টাকার কোচিং, কোচিং ছাড়া ‘IAS’ হওয়া অসম্ভব। এমন কথা সচারাচর আমরা শুনেই থাকি। প্রতি বছর লাখ লাখ পরীক্ষার্থী ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন এবং সঠিক গাইডেন্স পাওয়ার জন্যে মোটা অঙ্কের কোচিং এও ভর্তি হয়ে যান। ফলত পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোচিং ইনস্টিটিউট এর ফি। তারপরেও অনেকে হয়তো উত্তীর্ণ হতে পারেননা। তাই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীরা কোচিং না নিতে পারার জন্য এই পরীক্ষা থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। তবে কোচিং সেন্টারের প্রশিক্ষণ যে লাগবেই, এটা কিন্তু আবশ্যক নয়। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা সম্পূর্ণ একার দক্ষতায় কোনও কোচিং ছাড়াই পরীক্ষায় সাফাল্য পেয়েছেন। এঁদেরই একজন সারজানা যাদব, যিনি কোনো কোচিং ছাড়াই তৃতীয় বারের প্রচেষ্টায় আইএএস (IAS) হয়েছেন।
দিল্লীর বাসিন্দা সারজানা, দিল্লী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (DTU) থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর রিসার্চ অফিসার হিসেবে Telecom Regulatory Authority of India (TRAI) তে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। তবে ছোটো থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিলো আমলা হওয়ার। তাই চাকরি করতে করতেই শুরু করেন ইউপিএসসির প্রস্তুতি। চাকরি করে বাড়তি কোচিং নেওয়ার মতো সুযোগ ছিলনা সারজানার। তাই নিজে নিজেই শুরু করেন প্রস্তুতি। প্রথম দুবার সফলতা না আসলেও তৃতীয়বার তিনি সফল হয়েছেন। ২০১৯ সালে ইউপিএসসিতে তাঁর সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক হয় ১২৬।
আরও পড়ুনঃ সন্তান সামলেও সফল আইপিএস অফিসার এন অম্বিকা
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের পরিশ্রম এবং সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে সারজানা বলেন, “ইউপিএসসি তে উত্তীর্ণ হতে নিষ্ঠা আর জেদটাই বেশি করে থাকা দরকার। নিশ্চয়ই কোচিংয়ে ভালো গাইডেন্স পাওয়া যায়। তবে কোচিং এ ভর্তি না হলেই যে সফল হওয়া যাবেনা এমন নয়। সঠিক রুটিন এবং নিয়ম মেনে পড়াশোনা করলেই এই পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়া সম্ভব।” ইউপিএসসির বিশাল সিলেবাস নিয়ে তিনি বলেন “এই পরীক্ষার সিলেবাস অনেক বিস্তীর্ণ। তাই পরিকল্পনা মাফিক পড়াশোনা করলেই সফলতা আসবে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় আরও বেশি প্রয়োজন পুরানো পড়া ঝালিয়ে নেওয়া। রোজ পুরানো পড়া ঝালিয়ে নেওয়া এবং নিয়ম মেনে নোটস বানানোর উপর জোর দিতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের উপর, সফলতা আসবেই।”