পড়াশোনা মাঝ পথে থামিয়ে ফ্যাশান মডেলিং অথবা অভিনয় জগতে পা রাখার কাহিনী আমাদের কাছে বহু প্রচলিত গল্প। বর্তমানে বলিউড সহ বহু চলচিত্র ক্ষেত্রে এমন অভিনেতা বা অভিনেত্রীরা আছেন যারা মাঝপথে লেখাপড়া থামিয়ে এই জগতে এসেছেন। প্রচলিত গপ্লের বাইরে আজকের আপনাদের শোনাব এমন একজনের কাহিনী যিনি মডেলিংয়ের জগৎ ছেড়ে মনোনিবেশ করেছেন কঠোর পড়াশোনায় এবং উত্তীৰ্ণ হয়েছেন দেশের সবচেয়ে কঠিনতম পরীক্ষায়। আজ তিনি ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সর্বোচ্চ যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন সফল IAS অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।
২০১৬-১৭ সালে মিস দেহরাদূন এবং মিস উত্তরাখণ্ড খেতাব জয়ী মিস তাসকিন খান সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় একজন মুখ। তাসকিন প্রথমবার জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের মিমিক্রি করে। জীবনের প্রথমার্ধে তিনি মিস ইন্ডিয়া হওয়ার লক্ষ্য স্থির করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সেইমত। মাঝ পথে হঠাৎ রাস্তা বদল। জানা গেছে অন্য কারোর অনুপ্রেরণায় নয়, নিজেই সিদ্ধান্ত বদল করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক চাকরি পরীক্ষার। যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। সিদ্ধান্তের পরেই শুরু হয় কঠিন প্রস্তুতি। তবে, সফলতা আসেনি প্রথমবার। দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বারে অকৃতকার্য হওয়ার পরেও হার মানতে রাজি ছিলেন না তাসকিন। প্রতিবার ব্যর্থ হওয়ার পর, পরের বার আরও কঠিন পরিশ্রম শুরু করেন।
আরও পড়ুনঃ কোচিং ছাড়া সাফল্যের শিখরে জঙ্গলমহলের যুবক মানস মাহাত
অবশেষে চতুর্থ বারের চেষ্টায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হন IAS নিয়োগের পরীক্ষায়। সারা দেশের মধ্যে ৭৩৬তম স্থান অধিকার করেন মেধাতালিকায়। ২০২০ সালে এই সাফল্য অর্জন করেন তাসকিন। তাঁর আত্মীয়রা জানিয়েছেন বাবার সামান্য পেনশনের টাকা থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। বাড়িতে থেকে পড়াশোনায় অসুবিধা হওয়ার ফলে বাড়ি ছেড়ে ধর্মীয় স্থানে বসবাস শুরু করেন। তাঁর এই সাফল্যে আজ খুশি গোটা পরিবার সহ আত্মীয়স্বজন সকলেই। মাত্র ২৫ বছর বয়সী তাসকিন সোশ্যাল মিডিয়াতে যথেষ্ট জনপ্রিয়। এই মুহূর্তে তাঁর ইনস্টাগ্রামে ২৬ হাজার ফলোয়ার। সফল অফিসার হওয়ার সাথে সাথে এখন তিনি যুব সমাজের সানসেশন এবং অনুপ্রেরণা।