রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে ফের সৃষ্টি বিতর্কের। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী সাক্ষী দিয়ে জানালেন যে ২০১৬ সালের প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হয়নি কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট। এই প্রসঙ্গে এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ আগামী সাত দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৪শে জানুয়ারির মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে ২০১৬ এর নিয়োগে অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল নাকি।
রাজ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সম্প্রতি অভিযোগ উঠছে ২০১৬ এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনোও অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি পরীক্ষার্থীদের। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউতে এই অ্যাপটিটিউড টেস্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। যেখানে প্রার্থীদের পড়ানোর দক্ষতা বিচার করা হয়। তার জন্য আলাদা নম্বর থাকে। এক হিসেবে ইন্টারভিউর বাধ্যতামূলক পর্ব এটি। কিন্তু ২০১৬ সালের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক উঠছে যে, সে বছর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশিরভাগ জেলাতেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। আবার অনেক জায়গাতেই ইন্টারভিউ শ্রেণীকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে সম্প্রতি আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন বেশ কিছু জন পরীক্ষার্থী।
চাকরির খবরঃ মাধ্যমিক পাশে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির খবর
এর আগে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের কারণে ৪২,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। একবার ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেনিয়মের হদিশ মিলতে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। তিনি জানান এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে সে বছর অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল নাকি। এছাড়া এবছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট ঠিক কি পদ্ধতি মেনে সম্পন্ন হচ্ছে তাও হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদ সভাপতিকে।